এশিয়ার অন্যতম, উপমহাদেশের বৃহত্তম ও দেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি হাওর। দেশের ৪টি বৃহৎ মা-মৎস্য খামারের একটি হলো এই হাকালুকি হাওর। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয় এই হাওরে। ২০১৭ সালের বন্যার পর ২০১৮সালে ১৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এই ২০১৭ সালের বন্যায় ধান পঁচে এমোনিয়া গ্যাসে ২৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছিল। ইদানিং এই হাওরে বেপরোয়াভাবে মাছ মারার ফলে বহু মাছের বংশবিস্তার মারাত্মকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
হাওর, নদ-নদী, খাল-বিল, ঝিলে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়লেও দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ইদানিং। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছের সঙ্গে রাণী মাছের বংশের অনেকটা বিলুপ্তি হতে চলেছে। বিশেষ করে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহে এ মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি কোন রাণীমাছ ধরা পড়েনি বলেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বেপরোয়াভাবে অতিরিক্ত হারে মাছ ধরার ফলেই ছোট ছোট প্রজাতির এসব মাছ চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
|