প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারী অফিস ঘরটি(ফ্লেট) মেরামতের খরচ কোথা থেকে কি ভাবে কে দিল, এ নিয়ে গত সপ্তাহখানেক ধরে সংবাদ ও গণমাধ্যমে তূমুল মাতামাতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও আজ অবদি কোন সদুত্তর না দিয়ে বরং বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবেই অহেতুক জঠিল করে তুলেছেন। এই জঠিল করে তোলার পেছনের রহস্য কি, তা জানতে কার না আগ্রহ নেই। শেষমেষ আজ বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল তিনি বলেছেন তিনি শেষ কথা বলবেন, একজন স্বাধীন নিরপেক্ষ উপদেষ্টা নিয়োগ করে, যিনি মন্ত্রীত্বের কুপরিচালনা বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন কিভাবে ডাউনিং ষ্ট্রীটের ফ্লাট বাড়ীটির মেরামত খরচ যোগান দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত তদন্তকারীদের সকল কাজে তিনি সম্মত। এই ফ্লেট মেরামতের কাজের লেনদেনগুলো সঠিকভাবে করা হয়েছি কি-না এ ধরনের তাদের সবকিছুর বিষয়েই তার সম্মতি আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে খতিয়ে দেখার কিছু আছে কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবার কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। বরং যা যা সত্যিকার অর্থেই প্রয়োজন সেসবের উপর আমরা জোর দিচ্ছি।
রাণীর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব ক্রিস্টফার গেইদত কে গত বুধবারে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তিনি সরাসরি ভিন্ন একটি তদন্ত শুরু করেছেন কিন্তু আইনীভাবে তার কি রূপ ক্ষমতা আছে সে নিয়ে প্রশ্ন আছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীরও। তদন্ত কর্তা হিসেবে ক্রিস্টোফার গেইদত এর নামের প্রস্তাবনা করেছিল শ্রমিকদল।
সাধারণ জীবনাচরণের মান তদারকি কমিটির প্রধান লর্ড ইভান্সকে লেখা চিঠিতে বরিস জনসন নিশ্চিত করেছেন যে বিষয়টি আদৌ তদন্তের বিষয় কি-না তা ঠিক করার জন্য তিনিই সালিস হিসেবে থাকবেন স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে নয়। তিনি আরো লেখেন যে প্রধানমন্ত্রীর আইনানুগ অবস্থান ও দায়ীত্ব হলো, গোটা সরকারের নির্বাহী সকল দায়ীত্বের দেখাশুনা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী নিয়োগের সুপারীশকারী। আর এর অর্থ হলো মন্ত্রীর খারাপ পরিচালনা জনিত অভিযোগের তদন্ত হবে কি-না এমন সিদ্ধান্তের মালিকও প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণেই তিনি কোন সময়ই চাইবেন না প্রধানমন্ত্রীর এই কর্তৃত্ব বা দায়ীত্বকে বাতিল করতে।
উল্লেখ্য যে শ্রমিক দল দাবী করেছিল লর্ড গেইদত কে ক্ষমতা দিতে এই তদন্তের। কিন্তু লর্ড ইভানের কাছে বরিস জনসনের পত্র থেকে স্পষ্টতঃই বুঝা যায় যে তিনি তা হতে দেবেন না।
উল্লেখ্য প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের সরকারী ভবন মেরামতের জন্য বছরে ৩০হাজার পাউণ্ড খরচ করার নিয়ম আছে কিন্তু তিনি তার স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে প্রচুর খরচ করেছেন ফ্লেটটি মেরামত করতে গিয়ে। আর সে টাকা না-কি পরিশোধ করেছেন দলীয় কিছু ধনবান ব্যবসায়ী। এ বিষয় নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে দেশের সকল মহলে বচসা চলছে সাথে সাথে তদন্তও চলছে।
|