মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার রাঙ্গিছড়ার জাপান পুঞ্জি থেকে উদ্ধার করে আনা মহাবিপন্ন বনরুইটি কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২০মে) সন্ধ্যায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রাণীটি অবমুৃক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম, বন্য প্রাণী রক্ষায় শ্রীমঙ্গল ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক ও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থৌউনোাজাম, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার কাজল হাজরা। এর আগে গত বুধবার কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রাঙ্গিছড়া জাপান পুঞ্জি থেকে বন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফ, র্যাব, পুলিশ ও পরিবেশকর্মীদের সহযোগিতায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাণীটিকে পুঞ্জির পাহাড়ি ছড়া থেকে বাড়িতে এনে রেখেছিলেন এক লোক। বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, ইংরেজিতে এই প্রাণীটিকে চায়নিজ পেনগোলিন বলা হয়। বনরুই একধরনের স্তন্যপায়ী সরীসৃপ বন্যপ্রাণী। রুই মাছের মতো সারা শরীরে আঁশ থাকায় এটি বনরুই নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (ওটঈঘ) লাল তালিকা অনুযায়ী বনরুই পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন প্রাণী। বনরুই গহিন বনে ১০-১৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ করে বসবাস করে। এরা নিশাচর ও লাজুক প্রকৃতির। গভীর রাতে খাবারের খোঁজে সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে বেরোয়। আবার ভোরের আগেই সুড়ঙ্গে ঢুকে যায়। পিঁপড়া, পিঁপড়ার ডিম ও উইপোকা বনরুইয়ের প্রধান খাবার। বনরুই বছরে একবার বাচ্চা দেয়। এর পায়ের নখ ও পাতা খুবই শক্তিশালী। এরা রাতে দ্রুত চলাচল করতে পারে। |