মানব সভ্যতার ইতিহাসে সংরক্ষন করা মানুষের কাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বয়সের মানুষ ছিলেন ‘জারো আগা’ নামের একজন কুর্দিশ মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন এ বিশ্বে বেঁচেছিলেন। অন্তর্জালে তার ইতিহাস ঘেঁটে যতদূর জানা যায়, ক্ষণজন্মা এ মানুষটি পৃথিবীর মাটিতে তার মহাপবিত্র পা রেখেছিলেন ১৭৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী। সে সময়ের অটোমান সাম্রাজ্যের মেদান অঞ্চলে তিনি জন্মগ্রহন করেন। জীবন্ত ইতিহাস এই মানুষটি নশ্বর এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অনন্ত অসীমের পথে পা বাড়ান ১৯৩৪ সালের ২৯ জুন, তদানিন্তন অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল-এ।
তিনি বিশ্বের আদেখা জীবন্ত ইতিহাসরূপী আকর্ষণীয় মানুষ হিসেবে ১৯২০-৩০ সালের দিকে ভ্রমণ করেন সে সময়ের ইউরোপ থেকে আমেরিকা। তিনি তার জীবনে ১৩টি বিয়ে করেছিলেন এবং তার ৩৬জন সন্তান ছিলেন। তার এক পুত্র ১৯১৮ সাল অবদি বেঁচে ছিলেন এবং কাগজে-কলমে লিখিতভাবে তখন তার বয়স ছিল ৯০ বছর।
জাগো আগা ১৮২৮-১৮২৯ সালের রুশ-অটোমান যুদ্ধে বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধে শরিক হন। তিনি সে সময় দাবী করেছিলেন যে তিনি ফরাসী বীর নেপোলিয়নের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি ৬ই যুদ্ধে অংশে নিয়েছিলেন। তার বয়স যখন ১০০ বছর তখন তিনি ইতিহাস খ্যাত ‘প্লাভনা’ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
জারো আগা তার জীবনে কখনও মদ খাননি, ধুম পান করেননি এবং একজন সব্জিভোগী ছিলেন। সংগ্রহ: অন্তর্জাল
|