সে ১৯৪৭ সালের কথা। বৃটিশদের হাত থেকে সবেমাত্র ধর্মভিত্তিক ভারত-পাকিস্তান নামে ভাগ হয়ে দু’টি দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তখনও দিল্লীর সুলতানী আর মোগলিয়ানার প্রভাব দেশ থেকে একেবারে উঠে যায় নি। উঠেতো যায়ইনি বরং ফার্সী প্রভাবের সাথে যোগ হয়েছে নতুন করে ইংরেজী ভাষা ও সংস্কৃতির প্রভাব।
ফলে একমাত্র উর্দূ আর হিন্দী ভাষা ছাড়া বাদবাকী ভাষা আর সংস্কৃতির অবস্থা লেজেগোবড়ে!
তখনও গ্রামে গঞ্জে বৃদ্ধ বয়সীদের মুখে ফার্সী কথার বুলি আড্ডার আকর্ষণ ছিল। আমাদের অঞ্চলে গ্রামীন আড্ডায় ইংরেজী তেমন স্থান করে নিতে পারেনি। বরং ফার্সীর দখলটাই ছিল চোখে পড়ার মত। |
দেখুন তো বয়সের ভারে নুব্জ কীর্তিমান এই মানুষটিকে চেনা যায় কি-না?
তিনি আর কেউ নন, “সাত সাগর আর তেরো নদীর ওপাড়ে” বসবাসকারী সকলের প্রিয় মানুষ জালাল উদ্দীন আহমদ।