মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একদিনে ব্যবধানে আপন দু’ভাই পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত দাবী করছেন। একে অপরের সংবাদ সম্মেলনকারী আপন দু’ভাই হলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শ্রীমঙ্গল (লালবাগ) এর বাসিন্দা মৃত রহিম আলী ময়ূর এর পুত্র জয়নাল আবেদীন রাব্বিল (২৯) ও তার বড় ভাই দি ইলেট ফুলতলী ছাহেব (র:) একাডেমী’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ।
ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন রাব্বিল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টায় এবং মো: আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভাই জয়নাল আবেদীন রাব্বিল লিখিত বক্তব্যে, বড় ভাই মো: আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ ও পুলিশের কাছ থেকে জীবনের নিরাপত্তা ও মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রাব্বিল বলেন, তার বড় ভাই আকাশ বিচার সালিশের রায় না মেনে ক্ষমতা দেখিয়ে এবং পুলিশ কে মেনেজ করে তার এবং আরেক বড় ভাই জহিরুল ইসলাম শামীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণি করছেন এবং জেল কাটিয়েছেন। আরো মামলা-হামলা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এবং জোড় পুর্বব তার পৈত্রিক অংশ দখল করে ঘর বানাচ্ছেন। পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে পুলিশ উল্টো তাকে ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি আরো বলেন, সালিশে রায় মোতাবেক আমার কাছে পাওনা আমার বড় ভাই আকাশের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বর্তমান মাসের ২৩ তারিখ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তুু এর আগেই তার বড় ভাই তার বিরুদ্ধে প্রতারোনার মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তিনি দাবী করেন, উক্ত মামলায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই আনোয়ার তাকে মারপিট করে এবং ওই মামলায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে তাদের কাছে বিভিন্ন অংকের কাটা দাবী করেন।
এদিকে বড়ভাই মো: আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছোচ ভাই জয়নাল আবেদীন রাব্বিল সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করেছে। যা উদ্দেশ্যে প্রনোদিত দাবী করে এর প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ছোট ভাই রাব্বিল একজন মাদক ও গাজা ব্যবসায়ী। এবং জুয়া খেলা তার পেশা। রাব্বিল তার কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাওলাদ নিলে, বিচারের রায় পাওনা টাকা চুক্তিনামা অনুযায়ী ও বিচার সালিশের রায়ে তিনি ওই ভূমির মালিক। মামলার বিষয়ে তিনি জানান, তিনি মামলা করেছেন এবং তিনিই তাদের জামিনে এনেছেন।
তার আরেক ভাই জহিরুল ইসলাম শামীমের টাকা আত্মসাত সমাজে আমার মান সম্মান নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
তিনি দাবী করেন, অন্যায় ভাবে তিনি কারো এক ইি জমিও দখলে রাখতে চান না। তার বিচার সালিশের প্রতি যতেষ্ঠ শ্রদ্ধা আছে । তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উপস্তিত বিচার সালিশের রায় অনুযায়ী তিনি ঘর তৈরী করছেন এবং এব্যাপারে সে বাধা দিতে পারে না বলে জানান।
শ্রীমঙ্গল থানা উপ-পরিদর্শক আনেয়ারুল ইসলাম পাঠান মারামারি ও টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ছোট ভাই টা একটা মেন্টাল মাদকাক্ত। তাদের ভাইদের মধ্যে টাকা পয়সা ও জমি জায়গা নিয়ে বেজাল। এলাকাবাসী জানে। মামলা হইছে, মামলা মামলার গতিতে চলছে।