ভোক্তা-অধিদপ্তরে অভিযোগ করে ক্ষতিপূরণ পেলেন অভিযোগকারী
নিম্নমানের জুতা অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করা, প্রতিশ্রুতি অনুসারে সেবা প্রদান না করা, সরকার নির্ধারিত দাম থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয় করা এমনই অভিযোগে তিনজন অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ২৫ অক্টোবর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের উপস্থিতিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং আদায় করা হয়।
আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫% টাকা তিনজন অভিযোগকারীকে মোট ৪ হাজার ৫ শত টাকা প্রদান করা হয়। সাইফুল খান মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার চৌমুহনাতে অবস্থিত ফারহাত সুজ এর বিরুদ্ধে নিম্নমানের জুতা অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করার অভিযোগ এনে এবং প্রতিশ্রুতি সেবা না দেওয়ার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্ষতিপূরণের চেক সমঝিয়ে দেয়া হচ্ছে অভিযোগকারীর হাতে। ছবি: আশরাফ ও দেবনাথ |
প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. হুমায়ন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী সাইফুল খানকে জরিমানার শতকরা ২৫ভাগ(২৫%) = ১ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা প্রদান না করায় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার আল আমিন মার্কেটে অবস্থিত সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর বিরুদ্ধে মো. শাহরিয়ার জামান লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এম এ মালিক শাহরিয়ার আনিত অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী মো. শাহরিয়ার জামানকে জরিমানার ২৫% = ১ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়।
একই ভাবে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বাজারে অবস্থিত এম হাসান এন্টারপ্রাইজ এর বিরুদ্ধে ময়নুল ইসলাম কর্তৃক সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয় করার অভিযোগ আনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী ময়নুল ইসলামকে ২ হাজার ৫ শত টাকা প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.আল-আমিন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ |