চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ডিসেম্বরের শেষ সময়ে টানা তিন দিনের ছুটিসহ ইংরেজি নববর্ষকে সামনে রেখে কয়দিনে পর্যটকরা উপচে পড়েছে গোটা শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায়। ব্যাপক পর্যটকের আগমনে স্থানীয় হোটেল রিসোর্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা রমরমা ব্যবসা করছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন তারা। মহামারি করোনার পর ব্যবসায় ধ্বস নেমেছিল। দীর্ঘদিন পর এমন ব্যবসার মুখ দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি সেলিম আহমেদ জানান, গত তিন দিনের ছুটিতে এখানকার সব হোটেল রিসোর্ট ছিল হাউজফুল। পর্যটকরা মন ভরে গোটা শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন। ব্যাপক আনন্দ উল্লাসে ছুটি কাটিয়েছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। শ্রীমঙ্গলজুড়ে এই কয়দিন ছিল উৎসবের আমেজ। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সব মিলিয়ে এই সময়ে পরিবহন সেক্টর, রেস্টুরেন্ট, হোটেল রিসোর্ট, চায়ের দোকান, মনিপুরী কাপড়ের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ভালো ব্যবসা করেছেন। এতে কম করে হলেও পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে এই সময়ে। তবে রিসোর্টসহ সকল ধরনের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটলেও ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়া আর কোনো সংস্থার তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এ ছাড়া বিভিন্ন চা বাগানসহ দর্শনীয় স্থানে চলাচলের রাস্তাঘাট সরু ও ভাঙ্গাচোরা থাকায় গাড়ি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। এতে পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জানা যায়, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র, শনিবারের সাথে খ্রিষ্টানদের বড়দিন উপলক্ষে বাড়তি রোববারের ছুটি থাকায় সারা দেশের সব পর্যটক এলাকার মতো চায়ের রাজ্যেও পর্যটকের ঢল নামে। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এখানে পাঁচ তারকা মানের রিসোর্টসহ শতাধিক হোটেল রিসোর্টগুলো ছিল পর্যটকে ভরপুর। |