মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মণিপুরী সংস্কৃতি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ৭ দিনব্যাপী হোলি ও খুবাউসি কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার(০২ মে) দুপুর ১২ টায় কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির মণিপুরি সংগীত প্রশিক্ষন কক্ষে ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র সিংহের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী যোগেশ্বর চাট্যার্জী, ওস্তাদ বীরমণি সিংহ, কৃষ্ণ কুমারী সিনহা, সাংবাদিক নির্মল এস পলাশ, নাট্য প্রশিক্ষক শুভাশিস সিনহা, হোলি ও খুবাউশি প্রশিক্ষক বিধান চন্দ্র সিংহ।
প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থী গীতা সিনহা বলেন, মণিপুরি সমাজের সংস্কৃতির অন্যতম অংশ খুবাউসি ও হোলি একাডেমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশিক্ষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হোলি প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থী নিমাই সিংহ বলেন, মণিপুরি সমাজের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে হোলি প্রদর্শন হয়ে থাকে। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাল, লয় সহ হোলি গায়েন ভঙ্গি শিখতে পরলাম।
প্রশিক্ষক বিধান চন্দ্র সিংহ বলেন, একাডেমির আয়োজনে মণিপুরি জনগোষ্ঠীর হোলি ও খুবাউসি প্রশিক্ষণ আয়োজনে মণিপুরি সমাজের ছেলে মেয়েরা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও পারদর্শী হতে পারবে ও সংস্কৃতি ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
একাডেমির গবেষণা কর্তাকর্তা প্রভাস চন্দ্র সিংহ বলেন, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমি মণিপুরি নৃগোষ্ঠীসহ অপরাপর সকল নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে ও বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। খুবাউসি ও হোলি মণিপুরি সমাজের নৃত্য কেন্দ্রিক একটি পরিবেশনা যা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নে চুরি, ডাকাতি ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিট পুলিশিং সভা মঙ্গলবার(২রা মে) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সুলেমান মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মোঃ শহিদুল হক মুন্সী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী, ইসলামপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই পবিত্র শেখর দাস, এসআই কামরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় ইসলামপুর ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ, গ্রাম পুলিশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকায় চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধ, মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা বন্ধ তথা সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ এবং জনগণের ভূমিকা নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।