বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক বানিজ্য নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের পার্লামেন্টারী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বব ব্লাকম্যান এমপি‘র উদ্যোগে এবং কনরাজভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের ডেপুটি চেয়ার সুজিত সেনের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্টিত সেমিনারে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বানিজ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্যানেলিষ্টরা।
গতকাল ১৮ জুলাই লন্ডন সময় বিকেল পাঁচটায় সংসদ ভবনের কমিটি রুম ৯-এ দেড়ঘণ্টা ব্যাপী সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি, শিক্ষাবিদ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক গবেষকসহ ‘ব্রিটিশ মাল্টিক্যাচারাল সোসাইটি’র বিশিষ্ট জনেরা।
সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন ফরেন এন্ড কমনওয়েল্থ অফিস মিনিষ্টার রাইট অনারেবল ম্যারিয়ে ট্রেভেলিয়ন এমপি, রাইট অনারেবল জেইন হ্যান্ট এমপি, বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান; ‘ষ্টেট মিনিষ্টার অব প্লানিং’ ড. শামসুল আলম, সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিম এমপি, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, ‘মিনিষ্ট্রি অব কমার্সে’এর অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক; রিডার ইন মার্কেটিং এন্ড এ্যাসোসিয়েটের প্রধান(ট্রেটেজি এন্ড এক্সটারন্যাল রিলেশন) ব্রুনেল বিজনেন্স স্কুল ড. বিদিথ দে, ব্রুনেল স্কুলের সহিযোগী অধ্যাপক ব্যবসা ও ‘ইমপেক্ট’ বিশেষজ্ঞ ড. ব্রায়ান মাকনথশ, প্রফেসর ড. অকসানা গ্রিউ ‘হেড অব বিজনেস ব্রুনাল স্কুল, ব্যারিষ্টার প্রশান্ত বরুয়া প্রমুখ।
সরকারের নেয়া বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প ও সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়
সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, দারিদ্র বিমোচন কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক বানিজ্য, মাথাপিচূ আয় এবং সরকারের নেয়া বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প ও সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তার বক্তব্য রাখেন। তারনা হালিম এমপি বলেন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশবিরোধীরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে, কিন্তু পারেনি। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ একটি দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশে আর কোন দারিদ্র থাকবেনা।
বাংলাদেশর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বাংলাদেশ-এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্বের ৫২ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন আসেন তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তাকে সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশ-ব্রিটেন সম্পর্কে কোন চির ধরেনি। বন্ধুত্বের সেই স্মৃতিকে স্মরনীয় করে রাখতে বাংলাদেশ মিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ’ এওয়ার্ড চালু করেছে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন না
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহর জিজভী। তাঁরা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সেমিনারের অন্যতম সহযোগী সুজিত সেন।
সেমিনারের আয়োজক বব ব্লাকম্যান এমপি বলেন বাংলাদেশ যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা’সত্যিই প্রশংসনীয়- এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার অন্যতম ধনীদেশ। আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের কারনে।