বড়লেখা থানার বিশেষ অভিযানে ৩টি চোরাই গরুসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গেল সোমবার (৭ আগষ্ট) ভোরে বড়লেখা থানার পূর্ব দক্ষিণভাগ গ্রামের রিপন দাসের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়। সেদিন ভোরেই দক্ষিণ ভাগ বাজার এলাকা থেকে বাজারের পাহাড়াদার ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় একটি গরুসহ ইব্রাহিম আলী নামে একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে এবং তার আরও ২ সহযোগীর নাম পুলিশকে বলে দেয়।
পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে বড়লেখা থানাধীন কাঠালতলী এলাকা থেকে সাজু মিয়া আর জাহিদ হাসান নামে দুজনকে আটক করে। আটককৃত এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুটি চোরাই গরু সম্পর্কে পুলিশ তথ্য পায়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়লেখার শাহবাজপুর এলাকা থেকে আটককৃত বটল মিয়ার বাড়ি থেকে ২ টি চোরাই গরু পুলিশ উদ্ধার করে। আটককৃত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার ভোরে এই চোর চক্রের মূল হোতা রিয়াজ উদ্দিনকে মধ্য ডিমাই এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ঘুরে গরু চুরি করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। মঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজার পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আটকৃতরা হলো- বড়লেখা উপজেলার রোকনপুর গ্রামের নাজির উদ্দিনের পুত্র মোঃ ইব্রাহিম আলী মামুন, একই উপজেলার মুছেগুল গ্রামের তাজিম উদ্দিনের পুত্র সাজু মিয়া, একই উপজেলার বিছড়াবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুশ শুকুর’র পুত্র বটল মিয়া, উপজেলার মুছেগুল গ্রামের জবাই মিয়ার পুত্র জাহিদ হাসান, উপজেলার বিএমসি কেচরিগুল এলাকার রমজান আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ’৩ টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের নিদের্শনা মোতাবেক পরবর্তীতে গরু গুলো গরুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আটককৃত আসামিদের সকালে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়।