লন্ডনঃ সিলেটের শাহজালাল উপশহরে গড়ে উঠা নান্দনিক ‘গার্ডেন টাওয়ার এপার্টমেন্টে’ আবাসন প্রকল্পে ফ্লাট কিনে বিপদে পড়েছেন ১৮২জন প্রবাসী। প্রবাসীদের অর্থে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৫টি সুউচ্চ টাওয়ারের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই আবাসন প্রকল্পটি প্রবাসীদের হাব হিসেবে পরিচিত। গতকাল ১০ আগষ্ট বিকেলে লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীরা তাদের প্রতারিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এই প্রকল্পের মোট ১৮২টি ফ্ল্যাটের প্রায় ৯৫ শতাংশের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কেবল যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা নন; বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা এসব ফ্ল্যাটের মালিক। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় এই চাকচিক্য আর নান্দনিকতার আড়ালে বছরের পর বছর ধরে চলছে ভয়াবহ দূর্নীতি এবং অন্যায়। যার ভুক্তভোগী এই গার্ডেন টাওয়ার প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনে প্রবাসী বাংলাদেশেীরা। প্রায় ২০ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা দলিল থাকা সত্বেও ফ্ল্যাটের নামজারি করতে পারছি না। অর্ধেকের বেশী ফ্লাট মালিক মালিকানা বুঝে পাইলেও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেনা কোম্পানী এর পাশাপাশি প্রায় ১৮ বছর যাবত প্রবাসী ফ্ল্যাট মালিকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জেনারেটর ও সার্ভিস চার্জ বাবদ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে ফ্রাট মালিকরা বলেন এসব অন্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফারুক আহমদ মিসবাহ।
মালিক সমিতির উদ্যোগে ইতিমধ্যে ব্যবস্থাপনাগত সমস্যাগুলোর অনেকটা সমাধান হলেও আসল সমস্যা তারা ফ্ল্যাটের মালিকানা পাচ্ছেন না এবং ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রবাসীদের দেয়া কোটি কোটি টাকার হিসাবও মিলছেনা। যে কারণে তারা বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান। তারা বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি- আমরা ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’ এর প্রতারণা ও দুর্নীতির বিচার চাই এবং ভুক্তভোগী প্রবাসী ফ্ল্যাট মালিকদের প্রতি সুবিচারের দাবি জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে ২০০০ সালের দিকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে তারা ‘গার্ডেন টাওয়ার’ প্রকল্পে ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। তখন যুক্তরাজ্যে কোম্পানির মার্কেটিং ডিরেক্টর মোঃ আব্দুল বাসিতের মাধ্যমে এ দেশে বেশিরভাগ মানুষ অর্থ পরিশোধ করে ফ্ল্যাট ক্রয় করেছিলো। তাদের স্বপ্ন ছিলো- “ফ্ল্যাটগুলো যেহেতু শুধু প্রবাসীদের কাছে বিক্রি হবে, ফলে প্রকল্পটি তাদের আদিভূমি সিলেটে তারা প্রবাসীদের জন্য এক নিরাপদ, নির্ভেজাল বিনিয়োগ এবং ঠিকানা পাবেন।” প্ল্যান দেখে তারা কেউ কেউ ইন্সটলম্যান্টে, আবার কেউ পুরো টাকা একসাথে দিয়ে ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর সঙ্গে ক্রয়চুক্তি করেছিলেন। তাদের সাথে যে চুক্তি তার দলিলে লেখা আছে-“ছাপকবালা বা ফ্রি-হোল্ড জায়গার ওপর এই ভবনগুলো হবে।” এদিকে খুব দ্রুতই ফ্ল্যাটগুলোর কাজও শেষ হয় এবং ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে তাদেরকে ফ্ল্যাটের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়। যেহেতু সবাই প্রবাসী তাই অনেকে সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করতে পারেননি। কিন্তু প্রতিনিধির মাধ্যমে সবাই ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বুঝে নিয়েছেন। যারা রেজিস্ট্রি করেছেন তাদেরকে জায়গার দলিলও দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানা যায়- “২০০৭ সালে যখন তত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায়- তখন আমরা খবর পাই সরকার টাওয়ারগুলো ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে আমরা জানতে পারি- জায়গাটা ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর নয়; সরকারী জায়গা নিয়ে অবৈধভাবে এ প্রকল্প করা হয়েছে। তখন আমরা প্রথম বুঝতে পারি ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’ আমাদের সঙ্গে জায়গার মালিকানা নিয়ে প্রতারণা করেছে। আমরা খবর নিয়ে আরো জানতে পারি কোম্পেনী এই জমি ৯৯ বছরের লিজ নিয়ে আবাসন গড়ে তোলে সাথে রয়েছে কোম্পেনীর বানিজ্যিক কয়েকটি প্রতিষ্টানও। সেই সময় ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর পরিচালকরা প্রবাসী সিম্পেথি দেখিয়ে কোনোভাবে লীজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ভবনগুলোর ভাঙ্গন ঠেকায়। কিন্তু ভূমি নিয়ে তাদের এই প্রতারণার কারণে ফ্ল্যাট ক্রয়ের দলিলে আমাদের মালিকানা উল্লেখ থাকলেও আমরা ফ্ল্যাটগুলোর নামজারি করতে পারছি না। আর যারা রেজিস্ট্রি করেননি, তারা রেজিস্ট্রিও করতে পারছেন না।”
প্রবাসী ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে ‘ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’- এর প্রতারণা এখানেই শেষ নয়। শুরু থেকেই নানা কৌশলে তারা প্রবাসীদেরকে ফাঁদে ফেলে ঠকিয়েছে, হয়রানি করেছে এবং তাদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাদের দুরভিসন্ধি ও প্রতারণার আরো কিছু নমুনা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। প্রবাসীগন বলেন- “কোম্পানির পরিচালকরা আমাদের থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগের জন্য শুরুতেই টাকা নিয়েছিলেন। বলেছিলেন সবকিছু তারা ম্যানেজ করবেন। তাঁরা পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ এবং মেরামত ও ভবনের রং করার জন্য আলাদা আলাদা টাকা নেন। এর পাশাপাশি প্রতি ফ্ল্যাট মালিক থেকে এককালীণ ৩০ হাজার টাকা করে নেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন- এই টাকাগুলো ব্যাংকে জমা থাকবে। আর জমা টাকার ইন্টারেস্ট দিয়ে সার্ভিস চার্জ চালানো হবে। ফলে ফ্ল্যাট মালিকদের আর মাসে মাসে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। কিন্তু ওই টাকায় কুলাচ্ছেনা দাবি করে তারা ২০০৬/২০০৭ সালের দিকে ওই তহবিলের জন্য ফ্ল্যাটপ্রতি আরও ২৫ হাজার টাকা করে নেন। পাশাপাশি ফ্ল্যাট প্রতি এক হাজার টাকা করে মাসিক সার্ভিস চার্জও নির্ধারণ করেন। তারপর বাড়াতে বাড়াতে এক সময় এই সার্ভিস চার্জ উঠে মাসিক ৩হাজার টাকায়। এভাবে ১৮২টি ফ্ল্যাট মালিকদের থেকে তারা কোটি কোটি টাকা নিলেও এখন এই টাকার কোনো হদিস মিলছে না।”
দূর্ভোগ আর দূর্ণীতির এখানেই শেষ নয়। প্রবাসীগন আরও জানান যে, ২০০৭/২০০৮ সালের দিকে প্রকল্পের ৫নম্বর টাওয়ারের কাজ শেষ হলে শুরু হয় প্রবাসীদের ফ্ল্যাটে পানির সংকট। কারণ নতুন টাওয়ারে হোটেল, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট করলেও সেখানে কোনো আলাদা পানির ব্যবস্থা করেনি কোম্পানী। তারা সেখানে প্রবাসীদের টাওয়ার থেকে পানি সরবরাহ করছিলো। এছাড়া অগভীর নলকুপ থেকে পানি উত্তোলন করার কারণে ফ্ল্যাটগুলোর পানিতে আর্সেনিকের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বর্তমানে কেনা পানি দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। গার্ডেন টাওয়ার প্রকল্পে শপিং সেন্টার, ব্যাংক, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুলসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান রয়েছে। যে কারণে প্রবাসীদের কাছ থেকে নেয়া বিল ও সার্ভিস চার্জ ছাড়াও কোম্পানির মাসিক বড় অংকের আয় আছে। কোম্পানির বড় অঙ্কের সম্পদও আছে। এসবের ফলে কোম্পানির পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক বছর ধরে কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ফারুক আহমদ মিজবার বিবাদ শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে এই বিবাদ আদালতে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আদালত একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক জনাব মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। দুই পক্ষের মামলার কারণে কোম্পানিটি এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। ফলে প্রবাসীদের যেসব সমস্যা সেসব নিয়ে কথা বলার জন্য কোম্পানির কাউকে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
কোম্পানির পরিচালকদের প্রতারণা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ২০১৯/২০২০ সাল থেকে প্রবাসীগন মালিক সমিতি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বগুলো ধীরে ধীরে নিজেরা নিয়ে নেন। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রবাসীগন নিজেরা পানি সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। এরপর গ্যাস ও বিদ্যুৎতের দায়িত্ব নেয়ার পর কোম্পানির আরও বড় একটি প্রতারণা ধরা পড়ে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। তারা বলেন- “আমরা দেখলাম- কোম্পানি এত বছর ফ্ল্যাট প্রতি যে বিদ্যুৎ বিল নিয়েছে আমাদের প্রকৃত বিল তার অর্ধেকের চাইতেও কম আসে। জেনারেটর বিল আসে ফ্ল্যাট প্রতি মাত্র ৩৫-৪০ টাকা। কিন্তু কোম্পানি এত বছর নিয়েছে প্রকৃত বিলের চাইতে বহুগুন বেশি। গ্যাস বিলের জন্য তারা প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে চুলাপ্রতি সরকারী রেইটে টাকা নিতো। কিন্তু তারা বিল পরিশোধ করতো ব্লক হিসেবে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর আবিষ্কার করলাম- তাদের যে মার্কেট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক ও সুইমিংপুলসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান রয়েছে সেগুলোর জন্য তারা কোনো বিল দিতো না। সার্ভিস চার্জও দিতো না। ফ্ল্যাট মালিকদের অর্থাৎ আমাদের টাকায় সবকিছু চালানো হতো।একইভাবে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর সিকিউরিটি ও পরিচ্ছন্নতাসহ সকল ব্যবস্থাপনা খরচ আমাদের টাকায় চালাতো। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে তারা আমাদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর পরিচালকরা গ্যাসের সংযোগ নিয়েও করেছে প্রতারণা। আমাদের কাছ থেকে গ্যাস সংযোগের জন্য ফ্ল্যাট প্রতি নিয়েছে ১ হাজার টাকা করে কিন্তু ২০২১ সালে জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি গ্যাস লাইন কেটে দেয়। তারা বলছে, এই গ্যাস সংযোগ অবৈধ। তাই তারা সংযোগ কেটেছে এবং আদালত কোম্পানিকে জরিমানাও করেছে। সংযোগ কেটে দেয়ার ফলে বিগত প্রায় ২ বছর যাবত আমরা ফ্ল্যাট মালিকরা চরম সমস্যায় আছি। কারণ সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। যে কারণে ফ্ল্যাটগুলো ভাড়াও দেয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে কোর্ট অর্ডার অনুযায়ী জ্বালালাবাদ গ্যাস, গ্যাসলাইন সংযুগ করার উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এভাবে চাকচিক্য আর নান্দনিকতার আড়ালে গার্ডেন টাওয়ার প্রকল্পের ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর পরিচালকরা প্রবাসীদের সঙ্গে বছরের পর বছর নানা দুর্নীতি, অন্যায় ও প্রতারণা করে এসেছেন। তারা আমাদের ফ্ল্যাট মালিকদের আরও বেশকিছু সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেননি। যেমন কনফারেন্স হল, বাচ্ছাদের খেলার জায়গা ইত্যাদি দেওয়া হয় নাই। তারা পদে পদে প্রবাসী ফ্ল্যাট মালিকদের ঠকিয়েছেন এবং অন্যায়ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।”
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন- “আমরা প্রবাসীরা মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ও আবেগের টানে বিনিয়োগ করি। আমরা চাই বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। আমরা এসকল প্রতারকদের উপযুক্ত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা বাংলাদেশ সরকার ও সিলেটের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলতে চাই- আপনারা ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’-এর প্রতারণার বিচারের ব্যবস্থা নিন এবং প্রবাসীদের শ্রম ও ঘামের টাকায় কেনা ফ্ল্যাটের মালিকানা বুঝিয়ে দিন। এই প্রকল্পে গুটিকয় দুর্নীতিবাজ ও অসাধু ব্যক্তির লোভের কারণে আজ দেড় শতাধিক প্রবাসী হয়রানি ও বড় ক্ষতির শিকার। দয়া করে নির্দোষ এসব প্রবাসীদের হয়রানি ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন।”
আমরা জানি সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন একটি ভুমি আইন হয়েছে। যাতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে- দলিল যার জায়গা তাঁর। আমাদের অনেকের কাছে দলিল রয়েছে। ফলে আমরা আমাদের কেনা জায়গা ও ফ্ল্যাটের মালিকনা চাই। আমরা প্রবাসীরা রেমিটেন্স যোদ্ধা, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। তাই প্রবাসীদের বিনিয়োগ ও সম্পদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমরা সরকারের তড়িৎ পদক্ষেপ কামনা করি। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে এবং প্রবাসী বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য মহান জাতীয় সংসদে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিনয়ের সাথে আবেদন করছি। আবেদন জানাচ্ছি ‘দি ম্যান এন্ড কোম্পানি লিঃ’ এর দুর্নীতিবাজ পরিচালকদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ গিয়াস আহমদ চৌধুরী- চেয়ারম্যান, শাহ আশরাফ ইসলাম- জয়েন্ট সেক্রেটারি, শাহ মুনিম- জয়েন্ট সেক্রেটারি, আক্তার নিজামী- ট্রেজারার, ইব্রাহিম আলী- জয়েন্ট ট্রেজারার ও মনুমিয়া এক্সিকিউটিভ মেম্বার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জয়েন্ট সেক্রেটারি, আক্তার নিজামী-, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শাহ মুনিম এবং মনু মিয়া। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চাশ জনেরও বেশী ফ্লাট মালিক উপস্থিত ছিলেন।