মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় শিক্ষক সয়ন তাঁতী-কে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতীকে সিন্দুরখান বাজার এলাকা থেকে আটক করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক সূত্র জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট সকালে স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে টানাহেঁচড়া ও যৌননিপীড়ন করেন শিক্ষক সয়ন তাঁতী। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে অবগত করে ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক-কে চাকরিচ্যুত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো চা-বাগান এলাকায় ক্ষোভ ও চরম চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়। জনরোষ থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে যান ওই শিক্ষক। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ৪ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলা নং : ০৩।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতী এ স্কুলে শিক্ষক পদে ২০১৬ সালে যোগদান করে ঘটনার দিন পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাপারে র্যানার স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, সয়ন তাঁতী ওই স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর বিষয়টি আমরা জানার পর প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবগত করেছি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, যৌন নিপীড়নের মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতীকে সোমবার উপজেলার সিন্দুরখান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।