পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া শনিবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন(ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি ওয়া রাজেউন)।
শোকবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মরহুম সংসদ সদস্য জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে, তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও প্রায় টানা দুই দশক পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশ ও সমাজের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রয়াত মন্ত্রী আবুল হোসেন |
এদিকে, সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে মন্ত্রী বলেন, প্রয়াত আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার শিক্ষা বিস্তারে তিনি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মতো একজন শিক্ষাদরদী মানুষের মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
মন্ত্রী তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন (৭২) মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সংবাদসূত্র: দীপংকর বর, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
গাজাসহ ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করা, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েলি জায়নবাদ ধ্বংস করা এবং ফিলিস্তিনিদের আবাসভূমি ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দূপুর ১২:৩০টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনুর সভাপতিত্বে এবং বিশ্বজিৎ নন্দীর সঞ্চালনায় এই সমাবেশ চলে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী, সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সদস্য হৃদয় অধিকারী, মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর সহসভাপতি মো: মিয়াধন, সাধারণ সম্পাদক মো: মনজব আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণাকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের দাবিতে মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর পক্ষে থেকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অদ্য ২২ অক্টোবর’২৩ রবিবার দূপুর ১:৩০টায় মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর সভাপতি এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু এবং সাধারণ সম্পাদক মো: মনজব আলীর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসককে মৎস্যজীবীদের জন্য দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট আবুল হাসান, মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর সহসভাপতি মো: মিয়াধন, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, দপ্তর সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী, সদস্য হৃদয় অধিকারী সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ইলিশ মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম উল্লেখপূর্বক সরকার ঘোষিত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ পরিচালিত হচ্ছে। এই মাসের ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাইশ দিনব্যাপী সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে এই অভিযান চলছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহকারী জেলেরা কুশিয়ারায় নেমে মাছ ধরতে পারছেন না। জেলে পেশায় নিয়োজিত দরিদ্র জনসাধারণ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছেন। চরম খাদ্য, অর্থ সহ সামগ্রিক সংকট ও অভাবে ব্যাধিগ্রস্ত জেলে ও তার পরিবার। প্রয়োজন ছিলো মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণার সাথে সাথে সরকারিভাবে জেলেদের মধ্যে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ, খাদ্য ইত্যাদি সহায়তা পূর্বেই প্রদান করা। কিন্তু সরকারিভাবে মৌলভীবাজারের জেলেদের জন্য এমন উদ্যোগ করা হয় নি।