ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ‘শিশুদের কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার। জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
ইউনিসেফ বলছে, নিহতের পাশপাশি চলমান সংঘাতে গাজায় ৯৪০ শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলের বোমা হামলায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে; যা সংঘাতে নিহতদের প্রায় অর্ধেক।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র এলডার আরও বলেন, ‘গাজায় শুধুমাত্র ইসরাইলের বোমা হামলায় শিশুরা মারা যাচ্ছে না; প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবেও তাদের মৃত্যু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গাজায় এখন বাইরে থেকে ৫ শতাংশ পানি সরবরাহ হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়তই শিশুদের আশঙ্কাজনক হারে পানিশূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির এবং মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান জেমস।
টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়মিত আগ্রাসী হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলী বাহিনী। তাদের হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে অঞ্চলটির বিভিন্ন হাসপাতাল। এছাড়াও নিয়মিত বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি তো রয়েছেই।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। আহত হয়েছেন আরও ২০ হাজার। এছাড়া বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ।
অন্যদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ইসরাইল। গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় পানি, বিদ্যুৎ,জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এমনকি ইসরাইলি তাণ্ডবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ১৪ লাখের বেশি বাসিন্দা। যার মধ্যে ৬ লাখের বেশি আশ্রয় নিয়েছেন জাতিসংঘ পরিচালিত ১৫০টি জরুরি আশ্রয় শিবিরে।