মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শৈত্য প্রবাহের কারণে এ তীব্রতা আরো বাড়ছে। প্রতিদিন দুপুরের পর এখানে রোদের দেখা পেলেও সন্ধার পর থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ যাবত তাপমাত্রার এই উঠানামা চলছে। জনজীবনের সাথে প্রাণীকুলেও পড়েছে এর প্রভাব
কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে বিস্তীর্ণ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে চালকদের। পুরো জেলা জুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার একেবারে মুখে। দিন রাত সমান তালে বইছে কনকনে শীতল হাওয়া। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে পুরো জেলার আকাশ।
গত এক সপ্তাহ থেকে, আধাদিন বাদে, সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। টানা কয়েকদিনের শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জনজীবনের সাথে প্রাণীকুল বিশেষ করে গবাদি পশুরাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেড় হচ্ছেন না।
শনিবার সকাল ৯টায় জেলার শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এখানের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের আজকের এই তাপমাত্রা দেশের সর্বনিম্ন। বেশ কয়েকদিন যাবৎ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।
শীতের প্রকোপে চা বাগানের শ্রমিক, হাওর পাড়ের মানুষ, দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষেরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকেই খড়খুটা বা গাছের পাতা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।