প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে সর্বস্তরে বিজয় উল্লাস
চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও ছাত্রলীগ কার্যালয় ভাঙ্গচুর
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ফলে সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে দুপুরের পর থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ছাত্রজনতাসহ সর্বস্তরে বিজয় উল্লাস শুরু করে। শুরু হয়েছে মিষ্টি বিতরনের হিড়িক। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিক্ষোব্ধরা। কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গচুর, কমলগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মোরাল ভাঙ্গচুর, উপজেলা চৌমুহনায় ময়না চত্বর, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে, উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন ও কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইনবোর্ড ভাঙ্গচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রজনতার দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটেছে। দুপুরের পর শিক্ষার্থী ও উৎফুল্ল জনতা এবং বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিজয় উল্লাস দেখা দেয়। মিছিলে মিছিলে কমলগঞ্জ, শমশেরনগর ও মুন্সীবাজারে সয়লাব হয়ে পড়ে। কেউ কেউ মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা যায়। পরে বিক্ষোব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে উপজেলা চৌমুহনায় ময়না চত্বর, পৌরসভায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মোরাল, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইসদ আলীর কার্যালয়, উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন ও কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইনবোর্ড ভাঙ্গচুর করা হয়। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েক দফা হামলার চেষ্টা করেন উত্তেজিত জনতা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী মাহবুবু, সামিহা সুলতানা, শিক্ষক জমশেদ আলীসহ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা জানান, দীর্ঘদিন পর সাধারণ মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। অন্যায়ভাবে প্রতিপক্ষকে নির্যাতন, নিপীড়ন, মামলা ও হামলায় আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় সবাই দিন কেটেছেন। কেউ মুখ খোলে কথা বলতে পারেননি। এখন তারা মুক্ত হয়েছেন। তবে বিভিন্ন স্থানে হামলার বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির মোবাইলে কথা বলার একাধিকবার চেষ্টা করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।