রাজনগর উপজেলা সদরে কোমর পানি: দেড় লাখ মানুষের নির্ঘুম রাত পার
কদমহাটা গ্রামের ভাঙ্গা দিয়ে কাউয়াদিঘী হাওর প্লাবিত
মৌলভীবাজারের ৪টি নদীতে কিছুটা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আতঙ্ক এখনো কাটেনি। মৌলভীবাজার শহর ঘেষা মনূ নদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১০৮ সে:মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এ নদে পানি দুই দিনে কমেছে মাত্র ১২ সে:মি:। শহরের কোল দিয়ে দ্রæত বেগে পানি প্রবাহিত হয়ে কুশিয়ারায় গিয়ে পড়েছে। শহরের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ দুর্বল থাকায় যেকোন সময় ভেঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বাসা-বাড়িতে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে মনূ নদের রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় ৩টি জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কাউয়াদিঘী হাওরে পানি প্রবশে করছে ৩ দিন ধরে। এতে রাজনগর উপজেলা সদরে কোমর পরিমান পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সকল দোকান-পাট ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার কামরাচাক, টেংরা, মনসুরনগর ও কাউয়াদিঘী হাওর পাড়ের রাজনগর সদর, পাঁচগাও, ফতেপুর, উত্তরভাগ ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের প্রায় ১শ’টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে রূপা আমন ধান।
কুশিয়ারা নদীতে দুই দিনে মাত্র ৩ সে:মি: পানি কমেছে। পাহাড়ী বারাক নদীর ঢলে কুশিয়ারার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার ৪মাস পূর্ণ হয়েছে। নদী খননের অভাব ও যত্রতত্র বাঁধ নির্মাণের কারণে এ জেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার অবসান হচ্ছে না।
এদিকে শুক্রবার মনূ নদের কদমহাটা এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, কদমহাটায় ৩দিন ধরে বাঁধ ভেঙ্গে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড নীরব ভূমিকা পালন করছে। প্রতিনিয়ত কাউয়াদিঘী হাওরে পানি ঢুকে রূপা আমন ক্ষেতসহ হাওর পাড়ের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।
গেলো শুক্রবার মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কদমহাটায় মনূ নদের ভাঙ্গনের ৩টি জায়গায় খুব দ্রুত বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বেশি গতিবেগের কারণে আমরা জিওব্যাগ ফেলতে পারছি না। আশা করছি পানির গতি কমে গেলে শনিবার জিওব্যাগ ফেলে পানির প্রবাহ বন্ধ করা হবে।