1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিলেতে বাঙ্গালী... - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

বিলেতে বাঙ্গালী…

বিশেষ প্রতিনিধি॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭ পড়া হয়েছে

মেয়র মঈন কাদরির আমন্ত্রনে বার্কিং টাউন হলে
ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দল


লন্ডনঃ
  বার্কিং এন্ড ডাগেহ্যাম কাউন্সিলের ব্রিটিশ বাংলাদেশী মেয়র মঈন কাদরির আমন্ত্রনে বার্কিং টাউনহল দেখতে গেলেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ। গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বার্কিং টাউন হলে পৌঁছালে মেয়র সাংবাদিকদের স্বাগত জানান।

সাংবাদিকদের সম্মানে মেয়রের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্ন ভোজের। এর পর সাংবাদিকদের সাথে ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে মেয়র বারার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের এই বারার নাগরিকদের সুযোগ সুবিধার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। মেয়র জানান রাজার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ররা নাগরিকদের দেখভাল করেন। মেয়র বলেন একসময় এই এলাকা ছিল বর্ণবাদী ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি‘)র ঘাটি হিসেবে পরিচিত। বর্ণবাদীদের কারণে সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল কোণঠাসা। চাকুরী, হাউজিং, শিক্ষা এমনকি সাধারণ যানচলাচলে সকল দিক থেকে কালো ও এশিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষদের হয়রানির শিকার হতে হত। এখন আর বর্ণবাদীরা নেই; এই বারার কাউন্সিলারদের অধিকাংশই মাইগ্রেন্ট কমিউনিটির। বর্তমানে এই বারায় ৭ জন বাঙ্গালী কাউন্সিলার রয়েছেন। মেয়রকে নিয়ে তারা হলেন কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন মিয়া, কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, কাউন্সিলর রিতা বেগম, কাউন্সিলর সদরুজ্জামান খান, কাউন্সিলর সৈয়দ গনি ও কাউন্সিলর মুহিব চৌধুরী। ২০১৪ সালে মঈন কাদরী প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হোন। ২০২৪ সালে এক বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হন। বৃটেনের মেয়র পদ্বতিতে সকল মেয়রই একবছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

বারার নাগরিকরা এই এলাকাকে সম্পৃতির বারা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিন লক্ষ্যাদিক জনসংখ্যার বার্কিং ডাগেনহ্যাম এলাকায় এখন খৃষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, হিন্দু এবং মুসলিমরা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গড়ে উঠেছে ধর্মীয় সম্পৃতি।

এসময় মেয়র সাংবাদিকদের কাউন্সিলের মেয়র পার্লার, চেম্বার হল সহ বিভিন্ন রুম ঘুরে দেখান। মেয়র বলেন বর্তমানে এই এলাকায়, ইংরেজ, নাইজেরীয়, ভারতীয়, পাকিস্তানী শ্রীলংকান, আরবিয়ান ক্যারাবিয়ানদের পাশাপাশি বাংলাদেশী এবং ভারতীয় মিলিয়ে দশ হাজার বাঙ্গালী রয়েছেন এই বারায়। ব্যবসা বানিজ্যের দিক থেকে বাঙালী এবং ভারতীয়রা এগিয়ে। মেয়র বলেন বাঙ্গালী হিসেবে এই বারায় তিনি দ্বিতীয় মেয়র এর আগে ফারুক চৌধুরী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেয়র আরো জানান বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস পালন করা হয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ বিশেষ দিনে টাউন হলে আমাদের লাল সবুজের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয় টাউন হলে।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র জানান ড্রাগ, ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং ক্রাইম এখন বিশ্বের অন্যতম সমস্যা, নবপ্রজন্ম যাতে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত নায় হয়, এখানকার মালটি ফেইথ কমিউনিটি খুবই সচেতন। দশ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন. মতিয়ার চৌধুরী, মুহাম্মদ শাহেদ রহমান, মোহাম্মদ সালেহ আহমদ, ড. আজিজুল আম্বিয়া, এসকেএম আশরাফুল হুদা, সাজিদুর রহমান, এ রহমান অলি ও মির্জা আবুল কাশেম।


 

কার্ডিফে ওয়েলস আওয়ামীলীগের উদ্দোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত

বদরুল মনসুর

শোকার্ত হৃদয়ের স্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে রক্তঝরা শোকাবহ আগষ্টে আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়ানোর দীপ্ত শপথে গত ১৮ ই আগষ্ট  রোববার রাত ১২ ঘটিকায় শহরের স্পাইস সেন্টারে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে কার্ডিফের স্পাইস সেন্টারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক জননেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আহমদের সভাপতিত্বে ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা  এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর, ওয়েলস আওয়ামী লীগের  সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, সোয়ানসী আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান মকবুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মনা, নিউপোট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ওয়েলস আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, ওয়েলস  সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজি জুয়েল মিয়া, ওয়েলস তাতীলীগের সদস্য সচিব জহির আলী, সোয়ানসী যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, ওয়েলস  বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, হারুন উর রশিদ, এম এ রউফ, বেলায়েত হোসেন খান, আব্দুস সামাদ, দেওয়ান মাজিদ, মৌলা আফতাব, আনোয়ার হোসেন, রাসেল আহমদ, মুকিম আহমদ, জিলু মিয়া, পলাশ আহমদ,  সুজন মিয়া, আনসার মিয়া, আব্দুর রহমান, সুমন আহমেদ, আব্দুল লতিফ, আব্দুস শহীদ,  শাহজাহান মিয়া সহ কার্ডিফ,  নিউপোর্ট, সোয়ানসি ও পটলবাট থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

 

আলোচনা সভার শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, এগারো দফা শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ই আগষ্ট, ২১শে আগস্ট, ৩রা নভেম্বরের নিস্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং  সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের  প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

 

 

সভাপতির বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা মোহাম্মদ ফিরুজ আহমদ নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগে বাধ্য করার পর সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে তাঁর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন একাত্তরের দু:সময়ে ছিলো আওয়ামী লীগ, ৭৫ পরবর্তীতেও আওয়ামী লীগ জেগে ওঠে ছিলো, এক এগারোতে দাঁড়িয়েছে, ইনশাআল্লাহ ২০২৪’র এই সংকটেও শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে আবারও  আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র  সহ সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতি ভাণ্ডার বঙ্গবন্ধুর ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে গিয়ে বলেন, কেউ চাইলেই ইতিহাস নিশ্চিহ্ন বা মুছে ফেলতে পারে না, যতবার মুছে ফেলার চেষ্টা হয়, ততবারই ইতিহাস তার আপন মহিমা নিয়ে আবার ফিরে আসে।

 

 

ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  এম.এ.মালিক বলেন, আমাদের দূর্ভাগ্য যে জাতির পিতাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে বারবার অপচেষ্টা হয়। সবাইকে মনে রাখতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ও ঐতিহাসিক ৩২ নং এর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, জাতীয় চেতনার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, নারী জাগরণের প্রতীক বেগম রোকেয়া শাখাওয়াতের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা, সেনা নিবাসের ভেতরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল ভাঙ্গা, অরক্ষিত রাখা গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবন  লুট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভষ্মীভূত করা, শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারনে হত্যা, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এসব কাজ দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকরে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় স্বাধীনতার বিরোধীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT