সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদসহ অর্ধশত
আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুই মামলা
সাবেক কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুস শহীদসহ আ’লীগের অর্ধশত নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বাদীরা অভিযোগ করেন, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি চলাকালে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুস শহীদসহ স্থানীয় নেতাদের সহযোগীতায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা হামলা, জখম করা, বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণলংকার লুটপাট করেন।
গেল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আদালতে এ দুটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আদালত মামলা দুটি গ্রহন করে পুলিশি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। পৃথকভাবে মামলা দু’টি দায়ের করেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহরতলীর কালিঘাট সড়ক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার আজাদ ও কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র একই এলাকার বাসিন্দা শাহদাত হোসেন।
এ ছাড়াও সম্প্রতি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ওই মন্ত্রীর দখলে অবৈধভাবে থাকা বন বিভাগের ৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সিলেট বিভাগ জুড়ে তুলকালাম চলছে। মন্ত্রীর ভাইদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ।
দুই মামলায় সাত বারের সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুস শহীদ ছাড়াও উল্যেখযোগ্য আসামীরা হলেন-সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসূরুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, সহ-সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, আ’লীগ নেতা আকরামুল হক সোহাগ, সাজ্জাদুর রহমান সাজু, আবিদ হোসেন তানভীর, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কায়েস আহমেদ, কৌশিক ভট্টাচার্য্য, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল দাস, আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, বদরুল আলম শিপলু, মোঃ শাহজাহান মিয়া, মামুন আহমেদ, যুবলীগ নেতা আকবর হোসেন শাহিন, ছাত্রলীগ নেতা কায়েছ আহমেদ, মোশাহিদ মিয়া, মোঃ সাইদুর রহমাস সুজাদ, আইবুর রহমান আকাশ, আজিজুর রহমান নাঈম, মো. আজমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকাশ দেব জুয়েল, শেখ নোমান, কাউসার আলী, হারুনুর রশিদ, ফয়সল আলী, সজিব হোসেন, কৃষকলীগ নেতা শহীদ মিয়া, জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়া, সাদিকুল ইসলাম, মোঃ আজমান মিয়া ও আইবুর রহমান আকাশ। এছাড়াও দুই মামলায় আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।