মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়।
গত রোববার ভারতীয় সীমান্ত বেষ্টিত এ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সোমবার আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটকৃতরা হলো- উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের দিঘলবাগ গ্রামের সবু মিয়ার পুত্র তায়েফ হোসেন(৪০), বেলাগাঁও গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ ইব্রাহীম(৩৬), সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুল্লাপুর ইউনিয়নের আষ্টসাংগন গ্রামের কবির আহমেদ’র পুত্র আবু সুফিয়ান(২০) ও একই জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আবুল হোসেন’র পুত্র আলী হোসেন(৩০)। উল্যেখ্য, বিগত তিন-চার মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫-৪০ টি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় আন্ত:জেলা চোর চক্রের সদস্যরা।
এদিকে হোন্ডা চোর আটকের খবর পেয়ে রাতেই থানায় ছুটে আসেন উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হোন্ডা চুরি হওয়া মালিকরা। এসময় তারা তাদের চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা চান।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের আবুল কালামের বাড়ি থেকে রাতে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি চুরি হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে হোন্ডা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি বাদী হয়ে জুড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল ইসলামের নির্দেশনায় ও থানার ওসি মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে এসআই মোঃ মামুন মিয়া, এসআই পঙ্কজ দাসসহ একটি দল অভিযান চালিয়ে তায়েফ হোসেন ও ইব্রাহীমকে আটক করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু সুফিয়ান ও আলী হোসেনকে আটকসহ ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। আটকৃত ৪জনের মধ্যে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এবং মোঃ ইব্রাহীমকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আটকৃতরা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নিকট থেকে চোরচক্রের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তেরর স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হচ্ছে।