মৌলভীবাজার অফিস : রোববার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম না মেনে স্কুল হোস্টেলের ৩টি কক্ষ দখল করে নিজ বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক ছাত্রকে ব্যাচ করে পড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকগণ হোস্টেলের পূর্বপাশের বিল্ডিংয়ের পশ্চিম মাথার ৩টি কক্ষে সকাল এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছাত্রদের পড়ান। হোস্টেলটি এখন ছাত্রদের কাছে কোচিং সেন্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা অভিভাবকদেরও কোচিং ছুটির পূর্ব পর্যন্ত হোস্টেলের বারান্দা ও গেইটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ফলে হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিঘ্নিত হচেছ হোস্টেলের সুন্দর পরিবেশ। শিক্ষকদের ভয়ে হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা মুখখোলে কিছু বলতে পারছে না। উপরের অভিযোগ মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের সহকারি শিক্ষক (প্রভাতী) ও হোস্টেল সুপার আব্দুল মালিক, জুতিলাল সূত্রধর ও আব্দুল আহাদ এর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, সকাল ৭ থেকে শুরু হয় প্রথম ব্যাচ এবং বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে আরো ৩টি ব্যাচ। ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলের। বাকী কয়েকজন অন্যান্য স্কুলের। ওই তিন শিক্ষকের সমন্বয়ে হোস্টেলটি এখন পুরাদমে কোচিং সেন্টারে পরিণত হয়েছে। স্কুলে সময় দানের চেয়ে তারা কোচিংয়ে মনযোগী বেশি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হোস্টেলে গিয়ে দেখা যায়, সহকারি শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার আব্দুল মালিক নিজ কক্ষে সরকারি স্কুলের দিবা শাখার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আব্দুর রহমান নিলয় ও শাহ জালাল কেজি এন্ড জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষার্থীকে পড়াচেছন এবং পাশে একজন মহিলা অভিভাবক বসে আছেন। ওই প্রতিবেদক উপস্থিত থাকা অবস্থায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়তে আসে। পার্শ্ববর্তী কক্ষে গেলে দেখা যায়, কোচিং সেন্টারের আদলে রুমের চারদিকে ‘ডেক্স’ ও ‘ব্রেন্স’ রাখা এবং মধ্যখানে শিক্ষকের জন্য চেয়ার-টেবিল রয়েছে। ওই কক্ষের দেয়ালে একটা ‘বোর্ড’ ঝুলানো রয়েছে। ওই কক্ষটি ব্যাচ পড়ানোর প্রধান কক্ষ। এখানে এক সাথে ২০/২৫জন শিক্ষার্থী বসে পড়তে পারে। এসময় শিক্ষক আব্দুল মালিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ছাত্র পড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমার স্কুলের ১০/১২জন ছাত্রকে পড়াই। বাকীরা বাহিরের স্কুলের।