হারুনূর রশীদ।। দুনিয়ার বৃহত্তম সংবাদ ও তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে “ফেইচবুক”এর দায়-দায়ীত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষের কোটী কোটী সংবাদ ও তথ্য ফেইচবুকের মাধ্যমে সরবরাহ হচ্ছে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। গেল বুধবার ‘ফেইচবুক’ তার সেই দায় ও দায়ীত্বের বিষয় স্বীকার করে নিয়ে তার সুস্টু সম্পাদনার জন্য “ফেইচবুক সাংবাদিকতা প্রকল্প”এর ঘোষণা দিয়েছে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বিশ্বের প্রকাশকদের প্রকাশনার কারিগরী দিকের সাথে একটি নিবীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যাতে প্রকাশিত কোন বিষয় ফেইচবুকে প্রকাশের আগে সুষ্টু সম্পাদনার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। “ফেইচবুক” সাংবাদিকদের বিষয়ে প্রশিক্ষন কর্মসূচী ও প্রকাশনা যন্ত্রপাতি গড়ে তুলবে যা দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করে তুলবে কি করে সংবাদ ও অনুষ্ঠানের তথ্য দিতে গিয়ে ফেইচবুকে খুঁজতে হবে। ভূয়া খবর প্রকাশের হিড়িক সামলানোর জন্য “ফেইচবুক” সাধারণ মানুষকেও প্রশিক্ষন দেবে কি করে বিশ্বস্ত সংবাদ সূত্র পাওয়া যায় তা শিখিয়ে দেবার জন্য।
“দি ওয়াশিংটর পোষ্ট” এবং “ভক্স মিডিয়া”র সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে আসন্ন সপ্তাহেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। (প্রারম্ভিক অংশীদারদের মধ্যে কয়েকটি অংশের পরীক্ষায় দি নিউইয়র্ক টাইমস নেই তবে তাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে অংশ গ্রহনের জন্য।) “ফেইচবুক”এর এই উদ্যোগ সংবাদ ও তথ্য উপভোগ এবং ব্যাপক পরিবেশনের ক্ষেত্রে “ফেইচবুক”এর যে কিছু দায়ীত্ব রয়েছে তারই স্পষ্ট স্বীকৃতি। “ফেইচবুক”এর প্রধান নির্বাহী মার্ক জোকারবার্গ আগে বলেছিলেন, তিনি মনে করেন “ফেইচবুক” একটি কারিগরী পদার্থ। কিন্তু কি এবং কিভাবে কিসব দেখাচ্ছে, এ নিয়ে সামাজিক এই মাধ্যমটিকে বিগত ১৮মাস ধরে অনেক প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হয়েছে যার জন্য তাদের প্রায় ১.৮ বিলিয়ন সদস্য বিব্রত হচ্ছে।
“ফেইচবুক” সতর্ক করে জানিয়েছে যে তাদের সাংবাদিকতা প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে এবং পাঠক প্রকাশক ও সাংবাদিকদের প্রয়োজনের সাথে ইহা পরিবর্তিত হয়ে এগিয়ে যাবে। তারা বলেছে যে সংবাদ মাধ্যমে তাদের ভূমিকা কি এ নিয়ে বিভিন্নধর্মী অসংখ্য প্রশ্নের কারণে তারা লজ্জিত নয়। (নিউ ইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে অনুদিত)