হারুনূর রশীদ।। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে পা দিয়ে বিদ্যালয়ের জমিদাতা দিলদার হুসেন প্রিন্সের উল্লাস প্রকাশ করাকে নিয়ে সারা দেশে হৈচৈ পড়ে গেলে তিনি অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু হলে কি হবে। ভুল হয়ে গেলে তার প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে। সাধারণ মানুষের ক্ষেপা মন থেকে তার ওই কুলাঙ্গারপনা কাজ যে দাগ কেটে দিয়েছে তা বিলীন হতে অনেক সময় লাগবে। আর তাইতো আজও দেখলাম ফেইচবুকের পাতা সয়লাব হয়ে গিয়েছে তার প্রতি থুথু আর ধিক্কারের গালিতে। আর হওয়াটা স্বাভাবিক। এ কেমন নেতা, এ কেমন সমাজ সেবক, সাধারণ কান্ডজ্ঞানটুকু যার নেই। এসব কি(?) আর কোন(?) চেতনার মানুষকে আমরা ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারমেন বানিয়েছি? একটি রাজনৈতিক দল কি তার বিষয়ে কোন বিহীত ব্যবস্থা নেবে না? এ ধরনের ধীকৃত কর্মকান্ডের পরও দলটি কি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবার কথা চিন্তায় নেবে না? আমরা সাধারণ মানুষ আশা করবো সুদীর্ঘকালের ইতিহাস ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ দলটি অবশ্যই এ বিষয়ে সুচিন্তিত ব্যবস্থা গ্রহনে পিছপা হবে না। অন্ততঃ যেখানে দলের সম্পাদক একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত সুশীল রাজনীতিক ও মন্ত্রীপদের সমাজসেবক।
লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ১৯শে মাঘ ১৪২৩