লন্ডন।। বুধবার, ৩রা ফাল্গুন ১৪২৩।। পাক সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুড়ঙ্গের সন্ধান। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে মোদি সরকারের উপর। পিটিআই এর বরাতে বর্তমান এমন খবর দিয়েছে।
সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে কাশ্মীর যখন উত্তপ্ত তখন জম্মুর সাম্বা সেক্টরের রামগড়ে পাক সীমান্ত লাগোয়া একটি বিরাট সুড়ঙ্গ নজরে পড়ে বিএসএফের। সুড়ঙ্গটি প্রায় ২০ মিটার দীর্ঘ বলে জানা গিয়েছে। তা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করতেই এই সুড়ঙ্গ খনন করেছিল। খননের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছিল জঙ্গিরা। এদিন তা নজরে পড়ায় জঙ্গিদের বড়সড় অনুপ্রবেশ ও নাশকতার ছক ঠেকানো গিয়েছে বলে বিএসএফের আধিকারিকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
কীভাবে নজরে এল সুড়ঙ্গটি? বিএসএফ সূত্রে খবর, উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গতকাল থেকে সুড়ঙ্গ-সন্ধান অভিযান শুরু করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিশেষ দল। এদিন সকালে পাক-সীমান্তের একেবারে কাছে রামগড়ের একটি এলাকা দেখে সন্দেহ হয় বাহিনীর। সঙ্গে সঙ্গেই বুলডোজার দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই একটি গভীর গর্ত নজরে আসে। তাতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। পরে কিছুটা বিস্তৃত এলাকা ধরে খুঁড়তে গিয়েই সন্ধান মেলে সুড়ঙ্গের। বিএসএফ জানিয়েছে, প্রায় ২০ মিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গের শুরুর মুখটি পাকিস্তানের দিকে রয়েছে। এদিকের মুখটি ছিল আন্তর্জাতিক সীমানার কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে। নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছিল জঙ্গিরা। এবং এই সুড়ঙ্গ দিয়েই অত্যন্ত সহজে ভারতে অনুপ্রবেশের বড় ছক ছিল জঙ্গিদের। এদিন সুড়ঙ্গটি নজরে আসার পর এলাকায় নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। নিরাপত্তার বহুস্তরীয় বেড়াজালে বেঁধে ফেলা হয়েছে গোটা সাম্বা সেক্টরকেই।
এদিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কোয়ামার আঘা তো রাখঢাক না করেই বলেছেন, একের পর এক পাকিস্তান ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাবে, আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব, তা হতে পারে না। ওরা (পাকিস্তান) আন্তর্জাতিক কোনও নিয়মকানুন কিংবা শৃঙ্খলা মানছে না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পাকিস্তান সেই কাশ্মীরের একটা অংশ গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। আর সেই অংশটিকে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল বানিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘ছায়া যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র কড়া জবাবের মাধ্যমেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব। তার পর না হয় শান্তিপূর্ণ আলোচনার কথা ভাবা যাবে। (বর্তমান অনুসরণে)