লন্ডন: বৃহস্পতিবার ১৬ই চৈত্র ১৪২৩।। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ফতেহপুর (নাসিরপুর) এলাকার জঙ্গি আস্তানায় আজ বৃহস্পতিবার আবার “অপারেশন হিটবেক” নামের পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের একপর্যায়ে গুলির শব্দও শোনা গেছে বলে জানা গেছে। গতকাল রাত হয়ে যাওয়ায় এবং সকালে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় অভিযান স্থগিত থাকে।
আজ বৃহস্পতিবার ফের অভিযান শুরুর পর বেলা ১১টা ৫১মিনিটে ফতেহপুরের জঙ্গি আস্তানার কাছ থেকে দু’টি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে ‘ট্রেন্ডিংটিভি ডিভিসি’ নামের একটি অনলাইন টিভি খবর দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে ওই টিভি চ্যানেলটি জানিয়েছে যে বেলা ১১টা ৫৮মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৮মিনিট পর্যন্ত একটানা গুলির শব্দ ভেসে আসে। দু’টি বাড়ীর কেয়ারটেকার জুয়েল মিয়া ও তার স্ত্রী’কে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং ফতেহপুরের বাড়ীতে ৮জন ও বড়হাটের বাড়ীতে ৩জন নিয়ে ওই দুই বাড়ীতে মোট ১১জন লোক রয়েছে বলে জুয়েল মিয়ার কাছ থেকে জানা গেছে।
আমাদের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানাগেছে বিকেল ৪ ঘটিকা অবদি ফতেহপুরের আস্তানায় পুলিশী অভিযান চলছে। তবে খুবই বৈরী আবহাওয়ার কারণে পুলিশ বাড়ীতে এ খবর লিখা পর্যন্ত ঢুকতে পারেনি।
দৈনিক ইত্তেফাক খবর দিয়েছে- মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭-৮ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম অপারেশন হিটব্যাক নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ভেতরে থাকা জঙ্গিদের মৃতদেহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঠিক কত জঙ্গি ভেতরে ছিল সেটা নিশ্চিতভাবে না বলা গেলেও ৭ থেকে ৮ জন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অনলাইন উত্তরপূর্ব২৪.কম লিখেছে- মৌলভীবাজারে সন্ধান পাওয়া দু’টি জঙ্গি আস্তানার বাড়ি দু’টির মালিক সাইফুর রহমান লন্ডনে ট্যাক্সি চালান বলে জানা যায়। তার বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর। তার পিতা মৃত আছদ্দর আলী।
উত্তরাধিকার সূত্রে পিতার সম্পত্তির বর্তমান মালিক তিনিই। একটি বাড়ি মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় অবস্থিত। অপর বাড়িটির অবস্থান সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর(ফতেহপুর) এলাকায়। দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। নাসিরপুরের টিনশেডের বাড়িটি প্রায় তিন একর জায়গার উপর নির্মিত। বড়হাটের বাড়িটি ডুপ্লেক্স।
এদিকে বিশ্বস্ত এক সূত্রে প্রকাশ, পুলিশ ফতেহপুরের বাড়ীতে প্রবেশ করেছে এবং ৩জনের লাশ সনাক্ত করেছে। দায়ীত্বশীল একজন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘরের ভেতরে দেখেছেন মানুষের ছিন্ন-ভিন্ন লাশ পরে আছে এবং দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। তার মতে মৃত মানুষের সংখ্যা ৭/৮ হতে পারে। ফতেহপুরের বাড়ীতে অপারেশন সম্পন্নকরে পুলিশের সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা। পরে সোয়াত টিম বড়হাটের বাড়ীতে অপারেশন শুরু করবে বলে ওই সূত্র থেকে জানা গেছে।