লন্ডন: শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হতে চলা চুক্তি ও সমঝোতার সবগুলিই প্রকাশ করবে বাংলাদেশ সরকার। বিদেশমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি মঙ্গলবার বলেন, “দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। এর কোনটিই গোপন রাখা হবে না। সব চুক্তি ও সমঝোতা প্রকাশ করা হবে।”
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সফরের প্রাথমিক দিন ক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পরে তা পিছিয়ে যায়। তখনই পাকিস্তান ও কয়েকটি দেশের দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে এই সফরের সম্ভাব্য চুক্তিগুলির তালিকা সংগ্রহে তৎপর হয়েছিল বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন। এর পরে এপ্রিলের ৭ থেকে ১০ সফরের দিন ক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পরে বিরোধী বিএনপি চুক্তিগুলি নিয়ে শোরগোল তোলে। দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভি বলেন, “ভারতের সঙ্গে সামরিক সমঝোতা চুক্তি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে যাবে। এই চুক্তি-সহ সব চুক্তির বিষয় প্রকাশ করা হোক।” দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবারও বলেন, “বাংলাদেশ কেন ভারতের সঙ্গে সামরিক সমঝোতা চুক্তি করতে যাচ্ছে— তা বোধগম্য নয়। রাষ্ট্রবিরোধী কোনও চুক্তি মানুষ মেনে নেবেন না।”
বিদেশমন্ত্রী জানান, দু’দেশের ৩৫টি চুক্তির মধ্যে কতগুলি চুক্তি আর কতগুলি সমঝোতা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, দু’দেশের কূটনীতিকরা এ নিয়ে এখনও আলোচনা করছেন। সামরিক বোঝাপড়া চুক্তি নিয়ে বিএনপি-র বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিন্দুকেরা যে সব কথা বলছেন, তার কিছুই দু’দেশের চুক্তিতে নেই। যা আছে, সেটাও চূড়ান্ত হওয়ার পরে আমরা প্রকাশ করে দেব। একটু ধৈর্য ধরুন। আমাদের গোপন করার মতো কিছু নেই।” বিদেশমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনার সফরে বিরল-রাধিকাপুর রুটে মালগাড়ি চলাচল, খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রিবাহী বাস ও ট্রেন চলাচল এবং ত্রিপুরার পালটানা থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সূচনা হবে। -আনন্দবাজার থেকে