ঢাকা: বনানীতে ধর্ষনের ঘটনার এতদিন পর মুখ খুললেন ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত শাফাত আহমেদের মা জনাবা নিলুফার জেসমিন। তিনি দাবী করেন শাফাতের বাবা ছেলেকে অনেক অসৎ কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছেন এবং তার লাই পেয়েই ছেলের আজকে এই দশা হয়েছে। তিনি নির্যাতিত দুই মেয়েদের সাথে যা হয়েছে তা সত্য হলে এটি অন্যায় বলেও অভিমত দেন। পোর্টাল বাংলাদেশের সাথে আলাপ করতে গিয়ে ধর্ষক শাফাতের মা এমন কথাই বললেন।
তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হচ্ছিলো তিনি বার বার ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন এবং বলছিলেন এত টাকা আর প্রাচুর্য্য চারিদিকে কিন্তু তাঁর মনে কোনো শান্তি নেই। রাস্তার কুকুর থেকে শুরু করে সমাজের সকলেই এখন তাদের ঘৃণা করে। সারা বাংলাদেশে তাঁদের বিরুদ্ধে এত প্রতিবাদে তিনি অত্যন্ত বিব্রত ও ভীত বোধ করছেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি তার নিজের বাসাতেও থাকতে পারছেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।্তিনি মনে করছেন তার ছেলে আর কোনোদিনও ঘরে ফিরতে পারবে না।
শাফাতের এই অধঃপতন কবে থেকে শুরু হয় এমন প্রশ্নে বলেন, “শাফাত তার স্কুল অবস্থা থেকেই নানা মেয়ে নিয়ে পার্টিতে যেতো, বাসায় নিয়ে আসতো। আমি অনেকবার মানা করলেও তার বাবা সব সময় আমাকে বলতো এই বয়সে এমন করেই। এমনকি শাফাত যখন আমার বৌমা পিয়ায়াসাকে বিয়ে করে ঘরে এনেছিলো তখন সেটি ভাঙ্গার জন্য শাফাতের বাবাই সব রকমের চেষ্টা করেছিলো। পিয়াসা থাকার সময় আমার ছেলেটা অনেক ভালো ছিলো। পিয়াসাকে ডিভোর্স দেবার পেছনে সকল কলকাঠি নেড়েছে তাঁর স্বামী” তিনি জানান এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত তার ছিলোনা এবং এটা তিনি পছন্দ করেন নি।
নাঈম আশরাফ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই ছেলেটা সারাক্ষন আমার বাসায় পড়ে থাকতো। শাফাতের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমনকি সে সিগারেট পর্যন্ত খেতো। এই নাঈমকে শাফাতের বাবাই ঘরে নিয়ে আসে ছেলের সাথে থাকার জন্য। আমি কতবার বলেছি একে বাসায় না রাখার জন্য কিন্তু আমাকে ধমকে চুপ করিয়ে দেয়া হোতো”
তিনি আরো বলেন যে এখন তার ছোটো ছেলে ইফাতের জন্যও তার অনেক ভয় হয় এই ভেবে যে এটিও বড়টার মত নষ্ট হয়ে যায় কিনা। ছেলের এমন অপরাধের শাস্তি চান কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অন্যায় করে থাকলে শাস্তি হোক, এটাই আমি চাই। কিছু দিন জেলে থাকলে টাকার গরম কিছুটা কমবে।”