1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
অর্থনীতিতে দ্বিতীয়বারের মত নোবেল বিজয়ী হলেন আরেকজন বাঙালি - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

অর্থনীতিতে দ্বিতীয়বারের মত নোবেল বিজয়ী হলেন আরেকজন বাঙালি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৫৯৫ পড়া হয়েছে

অর্থনীতিতে এবারও নোবেল পুরষ্কার পেলেন একজন বাঙালি

আবারও নোবেল পেলেন একজন বাঙ্গালী এবং অর্থনীতিতেই। এবার নোবেল পেলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। অবিস্মরণীয় এই ঘটনা। বাঙালির মেধা ও মনন বিশ্বসেরা; সেটা আবারও প্রমাণ করলেন বিনায়ক। অভিজিতের এই নোবেল পুরষ্কার বিজয়ে আনন্দে মাতোয়ারা এপার বাংলা ওপার বাংলা। অভিনন্দনের মালা অভিজিতের জন্য।

অমর্ত্য সেনের পর অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় হলেন দ্বিতীয় বাঙ্গালি যিনি জয় করে নিলেন নোবেল পুরষ্কার এবং অর্থনীতিতেই। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলোও এই সম্মান পেলেন। তাদের দ্বারা এবারের নোবেল বিজয়ের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- “দারিদ্র্য দূরীকরণ”।
অভিজিৎ বর্তমানে ‘ফোর্ড ফাউনডেশন’এর আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসাবে এম আই টি তে কর্মরত আছেন। ১৯৬১সালে মুম্বাইতে জন্ম অভিজিতের। পরে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। স্নাতকোত্তর পড়েন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হার্ভার্ডে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনফরমেশন ইকোনমিক্স’।

নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়

অর্মত্য সেনের পর দ্বিতীয়বারের মত অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিত বন্দোপাধ্যায় নামের এই বাঙালি অধ্যাপক।
আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী এই বাঙালি অধ্যাপকের নাম নোবেল বিজয়ী হিসেবে গত সোমবার ঘোষণা করা হয় নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে। তবে অর্থনীতিতে এবারের নোবেল পুরস্কার মোট তিনজনকে দেওয়া হচ্ছে। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও যৌথভাবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার।

বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিরল গবেষণা করার পুরস্কার পাচ্ছেন ওই তিন অর্থনীতিবিদ। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তার ঠিক ২১ বছর বাদে নোবেল পুরস্কার পেলেন তাঁর অন্যতম প্রিয় ছাত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নোবেল বিজয়ী অভিজৎ ও তার স্ত্রী এসতার ডাফলো

সোমবার এ প্রসঙ্গে রয়্যাল নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়, গত দু’দশক ধরে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য নিরলস গবেষণা করছেন ওই তিনজন। তাদের নতুন পরীক্ষা-ভিত্তিক পদ্ধতির জন্য অনেক পরিবর্তন এসেছে উন্নয়নের অর্থনীতিতে। এর মাধ্যমে গবেষণার নতুন নতুন দিক খুলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৭০ কোটি মানুষ অতি দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতিবছর ৫০ লক্ষের বেশি শিশু তাদের পাঁচ বছরের জন্মদিনের আগেই প্রাণ হারাচ্ছে। এই অবস্থায় তিনজন অর্থনীতিবিদের গবেষণা তাদের জীবনের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। সেই কারণে তাঁদের নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

এই খবর পাওয়ার পরেই টুইট করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আরেকজন বাঙালি দেশকে সম্মানিত করলেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

১৯৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান। আর মা নির্মলাদেবী ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতার অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। বাবা ও মা দু’জনেই অর্থনীতির মানুষ হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল অধ্যাপক অভিজিতের। তাই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পালা সাঙ্গ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে ভরতি হন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে পিইচডি করার জন্য ভরতি হন ইংল্যান্ডের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এমআইটির ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। সূত্র: ডাক্তার প্রতিদিন ডট কম

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT