মুক্তকথা নিবন্ধ।। বিগত শতাব্দীব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব নারী দিবস’। এ দিবসে উৎসবে আনন্দে স্মরণ করা হয় বিশ্বব্যাপী নারী সমাজের বড় বড় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অর্জনকে। যদিও দিবসটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান কিন্তু এর পরও এ দিবসটি স্মরণ করিয়ে দেয় লিংগসমতার উপর দাবীতোলার কথা।
এ বছরে দিবসটি পালনের মূলকথা ঠিক করা হয়েছে “ভালর জন্য সমতা”। এবারের দিবসের আহ্বান আর লিংগবৈষম্য নয়, এখন থেকে সূচিত হবে বিশ্বময় লিংগসমতা।
|
লিংগ বৈষম্য মোকাবেলায় বিগত দশকে বৃটেনের বিশাল কোন অর্জন না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ২০১৫সালের লিংগ সমতা সূচিতে দেখা যায় কিছু কিছু আদর্শ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্ব ও তার সুফল লক্ষ্যনীয়। অবশ্য অর্থনৈতিক অঙ্গনে সিদ্ধান্ত গ্রহনে নারীর অংশগ্রহনে কোন উন্নয়ন সাধন হয়নি। বরং সামাজিক ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহন আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছে।
বিশ্বখ্যাত নারীবাদী সাংবাদিক গ্লোরিয়া স্টেইনেম একসময় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন এই বলে যে, বিশ্বময় নারীদের সমতার সংগ্রাম কোন বিশেষ নারীবাদী ব্যক্তি বা সংগঠনের বিষয় নয় বরং সামগ্রীকভাবে মানবাধিকারে বিশ্বাসী সকলের সমষ্টিগত উদ্যোগের মাঝে নিহীত।
বিগত ৩বছর ধরে বিশ্বের বহু দেশের নারীগন ‘বিশ্ব নারী দিবস’ পালন করে আসছেন ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে। দিবস পালন করতে গিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাতে হয় দারীদ্রতার বিরুদ্ধে, হিংসার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে। গত বছর স্পেনে ৬০লক্ষ মহিলা যন্ত্র ব্যবহার থেকে সরে আসে।
“মিডিল ইষ্টার্ণ ওইমেন এন্ড সোসাইটি অরগেনাইজেশন”, “গ্লোবাল ওইমেন্স স্ট্রাইক”, এবং “মোমেনটাম”সহ বহু সংগঠন আজ দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করেছে দিনটিকে স্মরণ করতে গিয়ে।