রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীগন। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভ করা হয়।
এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাষ্ট্রপতির থাকা না–থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
গতকাল বুধবার বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। দলটি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি মর্মে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের বিষয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয় তাতে বলা হয় এটা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।’