আবারও সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার রেল লাইনের পাশে লাইনচ্যুত ৩টা বগি রেখে রাত ৮টার দিকে প্রায় ১৫ ঘন্টার পর সারাদেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ভোর ৫টা থেকে রেলওয়ের ৩টা বগি উদ্ধারের কাজ করছে কুলাউড়া ও আখাউড়া ষ্টেশন থেকে থেকে ২টি রিলিফ ট্রেন। রবিবার সকাল ৬টা ১৫মিনিটে ছেড়ে আসা আন্তনগর কালনী ট্রেনটি ৭টা ৫০মিনিটে শমশেরনগর স্টেশনে আড়াই ঘন্টা অবস্থান করছে।এতে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ আছে।
আজ রোববার(২১ মে) ভোর ৫টায় কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের আমতলি এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ৩টা বগি উদ্ধারে জন্য কুলাউড়া ও আখাউড়া ষ্টেশন থেকে থেকে ২টি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেছে। কাজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভানুগাছ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বলেন, কিছু সময়ের জন্য সারা দেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ আছে। উদ্ধারকৃত ৩টা বগি শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর ঢাকাগামী কালনী ট্রেন সকাল ৬টা ১৫ তে ছেড়ে এসে ৭টা ৫০মিনিটে শমশেরনগর স্টেশনে অবস্থান করে।কাজ শেষ হওয়ার পর ট্রেন ছেড়ে যাবে।
সড়জমিনে গেলে দেখা যায়, সকাল ২টি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেছে। রেল লাইনের পাশে থাকা ৩টা বগি স্বাভাবিক করে উদ্ধার করে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হবে। স্বাভাবিক করতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির বাসিন্দা সাজু মার্চিয়াং বলেন, আমি কাজের জন্য সকালে বের হলে দেখি সকাল ৯টার দিকে ২টি রিলিফ ট্রেন এসেছে ৩টা বগি উদ্ধারের জন্য। গতকাল ৩টা বগি লাইনচ্যুত হয় সেই বগিগুলো দূর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে উদ্ধার করে রেলওয়ের লাইন স্বাভাবিক করা হয়। আজ সেই বগিগুলো রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শমশেরনগর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার উত্তম তুমার জানান, আড়াই ঘন্টা ধরে আন্তনগর কালনী ট্রেন দাড়িয়ে আছে শমশেরনগর স্টেশনে। রেল পথ চলার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের আমতলি এলাকায় ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের সাথে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস(৭২৩) ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। ফলে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এসময় ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। দূর্ঘটনার কারনে চারটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।