1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আলেকজান্ডার দি গ্রেট আর শাহে জাহান! - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

আলেকজান্ডার দি গ্রেট আর শাহে জাহান!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১০০৯ পড়া হয়েছে

আলেকজান্ডার ও রাজা পুরুস

হারুনূর রশীদ।।

ইতিহাসের রকমফের! সারা দুনিয়ার ইতিহাস, ইতিকথা নিয়ে বহুমত সেই আদি কাল থেকেই চলে আসছে। আর হবেই বা না কেনো। পুরো ভারত নয় তৃতীয়াংশের একটু বেশী সীমা নিয়ে রাজ্য বিস্তার করে শাহাবুদ্দীন মোহাম্মদ খুররাম উপাধি পেলেন শাহেন শাহ শাহাবুদ্দীন মোহাম্মদ শাহ জাহান। অর্থাৎ সারা জাহানের বাদশাহ। শাহাবুদ্দীন মোহাম্মদ খুররামকে এই উপাধি কে বা কারা দিয়েছিলেন আমার পঠিত ইতিহাসে তা পাইনি। এখনও জানার বাকী রয়ে গেছে যে দেশের মানুষ তাকে এ উপাধি দিয়েছিল না-কি তার সভাসদ দিয়েছিল। এমনওতো হতে পারে তিনি নিজে নিজেই এই উপাধি ধারণ করেছিলেন।
শুধু শাহজাহানই নয়, আলেকজান্ডারকে বলা হয় বিশ্ববিজীয় বীর! সত্যি কি তিনি সারা দুনিয়া জয় করেছিলেন? তিনি মেসিডোনিয়া থেকে সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত এসেছিলেন। আর অগ্রসর হতে পারেননি। তবুও তাকে বলা হয়ে থাকে বিশ্ববিজয়ী!  অতএব ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক কিংবা দ্বিমত থাকবেই। এবং এ ধারা চলেই আসছে।
দুনিয়ার ইতিহাসের সকল পুস্তক কোন ব্যক্তির পক্ষে পড়ে শেষ করার কোন প্রশ্নই উঠে না। দুনিয়ায় কোন মানুষ নেই যিনি বলতে পারবেন যে তিনি বিশ্বের সকল ইতিহাস গ্রন্থ পড়ে শেষ করেছেন এবং তিনি সকল ইতিহাস জানেন। কোন মানুষের দ্বারা এমন কাজ কোনদিনই সম্ভব নয়। তাই বলে ওইসব বহুমতের সবগুলিই যে সত্য সঠিক তাও কেউ হলপ করে বলতে পারবেন না। 
এই সেদিন ইতিহাসের একটি খন্ডচিত্র পড়তে গিয়ে জানলাম, কোন কোন লেখক না-কি লিখেছেন যে পুরুরাজের এক পুত্র মহাবীর আলেকজান্ডারকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। 
কেলিফোরনিয়া ইন্সটিটিউট অব আর্টস-এর এমএফএ একজন সিলভিয়া দেলিঞ্জার নিজের মতো করেই লিখেছেন সে কাহিনী। তার লিখা পড়ে বুঝাই যায় যে তিনি কিছু একটা লিখার জন্য পুরুরাজের পুত্রের এ গল্পটি সাজিয়েছেন।
অনেকেই লিখেছেন পুরুরাজের এক পুত্র বিশ্ববীর আলেকজান্ডারকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। সিলভিয়া অবশ্য তার উল্টোটা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন পুরু রাজার পুত্র একজন রাজকুমার, আলেকজান্ডারের সৈন্য সামন্তের সাথে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন। 
সিলভিয়া তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, আলেকজান্ডার সবসময় তার সৈন্য-সামন্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন। তার অর্থাৎ আলেকজান্ডারের লোক লস্কর কোনভাবেই তাদের সেনাপতিকে একা ছেড়ে দিতে চাইতেন না। তারা সবসময় আলেকজান্ডারের সাথেই থাকতেন। তাদের সমস্যা ছিল, আলেকজান্ডার সবসময় লড়াইয়ের সামনে থাকতেন এবং নিজে থেকে আক্রমণ পরিচালনা করতেন। ফলে তাদের ভয় ছিল যুদ্ধংদেহী তাদের এই সেনাপতিকে যদি শেষে হারাতে হয়। অতএব তারা সবসময় সেনাপতির সাথেই থাকতেন। এ অবস্থায় পুরু রাজার পুত্র আলেকজান্ডারকে একা পাবেন কি করে যে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করবেন? এ ছাড়াও আলেকজান্ডারকে সকলেই জানতো মহাদুর্ধর্ষ বীর। তাকে আঘাত করা মানেই নিশ্চিত মৃত্যু।
সিলভিয়া, আলেকজান্ডারের জীবনের ছোট একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধবাদী একজন আলেকজান্ডারকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আত্মসমর্পণ করে তার কাছে যাবার প্রয়াসী হয়েছিল। এক পর্যায়ে কাছে থেকে ওই সৈনিক একটি বর্শা আলেকজান্ডারের দিকে ছুঁড়ে মারে। লড়াইয়ে দক্ষ আলেকজান্ডার কৌশলে সে বর্শা থেকে নিজেকে রক্ষা করে সাথে সাথেই সেই সৈনিককে হত্যা করেন। এ ছিল আলেকজান্ডারের দুর্ধর্ষতা। 
সিলভিয়া স্মরণ রাখার মত একটি কথা লিখেছেন, মনে রাখতে হবে যে আলেকজান্ডারকে নিয়ে আমরা যা পড়ি তার সবই দ্বিতীয় পক্ষের বর্ণনা। কোন কোন ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের বর্ণনা। সে সময়ের ঘটনার অনুবাদ যা আমরা পড়ি তার সবই যিনি লিখেছেন তার নিজের সূচি অনুযায়ী লিখা। 
এরিয়ান হলেন সে সময়ের সবচেয়ে বেশী সম্মানিত দ্বিতীয় সারির সূত্র। আলেকজান্ডার-পুরুর যুদ্ধের সময় যারা সশরীরে তখন সেখানে ছিলেন এবং যারা আলেকজান্ডারকে চিনতেন সেসব ঐতিহাসিক সূত্র এখন আর নেই, হারিয়ে গেছে। একমাত্র দ্বিতীয় সারির সূত্র সেই এরিয়ান-এর বিবরণ আছে যে নদী পারাপারের কাছে প্রথম যুদ্ধের সময় পুরু রাজার ছেলে নিহত হন। কিন্তু এরিয়ান উল্লেখ করেননি কিভাবে ও কে তাকে হত্যা করেছিল।
আলেকজান্ডার তার কৈশোর থেকেই যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। বরং বলা সঠিক হবে যে তাকে যুদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। জানা যায়, আলেকজান্ডারের শিক্ষক এরিষ্টটল তাকে শিখিয়েছিলেন এই বলে যে তার জন্মই হয়েছে বিশ্ব জয় করে নেয়ার জন্য। তাকে পছন্দ করা হয়েছে এ কাজের জন্য। ইত্যাদি ইত্যাদি।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT