লন্ডন: বৃহস্পতিবার ৪ঠা ফাল্গুন ১৪২৩।। পুলিশের জন্ম জনসেবার নামে। এ শুধু আমাদের দেশ নয় দুনিয়ার সবখানেই পুলিশ জনগনের সেবক। অবশ্য সেবায় পার্থক্য যে নেই তা নয়। পার্থক্য আছে দেশ ভেদে। দুনিয়ার কিছু কিছু গরীব দেশে পুলিশ কিছু কিছু নিন্দনীয় কাজে জড়িয়ে পড়ে। সেসব দেশের আমরা একটি। আমাদের পুলিশকেও মাঝে মধ্যে কিছু কিছু গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ধরা যে পড়ে না তাও নয়। কিন্তু আজকের দেখা, একজন সফিকুল ইসলাম রানার ফেইচবুক পেইজের এই পুলিশের আচরণ সত্যিই অবাক করার মত। সফিকুল ইসলাম তার পাতায় ব্যঙ্গ করেই লিখেছেন নিশ্চয় যে- ‘পুলিশ_বলে_কথা !!!’
তার পাতায় সফিকুল লিখেছেন-” ছবিটি আজ সকাল ১১.০২ মিনিটে পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী স্টেশন থেকে তোলা। ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে উনি পেকুয়া থানার এস আই তৌহিদ। তার অনেক সুনাম !
পুলিশ মহোদয় যাকে চৌরাস্তার মোড়ে শাস্তি হিসেবে সিজদা (!!!) দিতে বাধ্য করেছেন তিনি একজন দাঁড়ি টুপি ওয়ালা ড্রাইভার। পেটের দায়ে গাড়ী চালান। বাড়ী কক্সবাজারের নজিরারটেক এলাকায়। নাম মোঃ মীর কাশেম।
অপরাধ চৌমুহনীর মোড় ঘুরতে গিয়ে পুলিশের গা ঘেষে গাড়ীটি যেতে চেয়েছে। লাইসেন্স বা কাগজপত্রের কোন ঝামেলা নেই।
চোখের সামনেই সবকিছু ঘটল। জনগণের সেবকদের এমন আচরণ মেনে নেয়া যায়না। আমরা পুলিশ অফিসারের এহেন আচরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
দাড়ি আর সেজদা নিয়ে কথা নয়, আমরাও পুলিশের কাছ থেকে এ ধরনের ব্যবহার কোন সময়ই আশা করি না। এটি নিন্দনীয় নয় শুধু, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দেশের মানুষ সে মূ্র্খ হোক কিংবা শিক্ষিত হোক, পুলিশ দেখবে তার অপরাধ এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করবে। পুলিশকে বিচার ও রায় দেয়ার কোন দায়ীত্ব বা ক্ষমতা কোথায়ও দেয়া হয়নি। এ কান্ড অনেক ধরনের অপরাধে দন্ডনীয়। অপরাধি এই পুলিশ কর্মীকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা আমাদের অগ্রযাত্রার জন্য অতীব প্রয়োজন।