একের পর এক ২দিনের হামলায় বিপন্ন একটি পরিবার। |
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশকে ফোনের মাধ্যমে অবহিত করার পরও কিসের জোরে এ হামলা হলো এবং দ্বিতীয়বার পুনঃহামলার ঘটনা ঘটলো যার ফলে এখন একটি পরিবার বিপন্ন অবস্থার মুখোমুখী। কিসের ইংগিতে কোন সাহসে অভিযুক্তদের উপর দ্বিতীয়বার অতর্কিত হামলা হলো এবং রক্তাক্ত হয়ে ওই পরিবারের বাবা, মা ও দুই ভাই এখন মৌলভীবাজার জেলাসদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমন নেক্কারজনক অমানবিক বর্বর হামলার পেছনের ঘটনাটি কি মানুষের অজানাই থেকে যাবে চিরকাল? উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার অতর্কিত হামলার ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ১৬ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শহরতলীর গন্ডেহরি গ্রামে।
থানায় দেয়া প্রথম অভিযোগ ও ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে এ সংবাদকর্মী যা জানতে পেরেছেন তা’হলো- পানি নিষ্কাষণের স্থান নিয়ে গন্ডেহরি গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছিলো একই বাড়ীর বাসিন্দা ও মৃতঃ আব্দুর রহমানের পুত্র রুমেন, সাইফুল, রাজু, তাদের মা জবা বেগম, রুমেনের স্ত্রী শাপলা ও সাইফুলের স্ত্রী শিরিন। এরই অজুহাতে ১৫ জানুয়ারী বিকাল ৩টার দিকে তারা একজোট হয়ে হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ীতে এসে গালিগালাজ ও তর্কবিতর্কের শুরু করে এবং তারই একপর্যায়ে তারা হাজী আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মারধোর করে এবং তার গলায় থাকা ১ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় হাজী আব্দুর রশিদ ও মনোয়ারা বেগমের স্বর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার পর হাজী আব্দুর রশিদ আহত স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান এবং মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পেয়ে পরদিন ১৬ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার সকালে আবারও রুমেন, সাইফুল, রাজু, তাদের মা জবা বেগম, রুমেনের স্ত্রী শাপলা ও সাইফুলের স্ত্রী শিরিন লাঠিসোটাযোগে হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ীতে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাজী আব্দুর রশিদ, মনোয়ারা বেগম, তাদের পুত্র রুহুল আলম রনি(সাংবাদিক) ও রেজাউল ইসলাম সানিকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
তাদের মধ্যে রুহুল আলম রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা সবাই মৌলভীবাজার জেলাসদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রশিদ থানায় ফোন করে এ ঘটনা জানান। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এফআইআর করা হয়নি এ অভিযোগের বলে সংবাদকর্মীকে জানান তারা।
এদিকে, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন- মৃতঃ আব্দুর রহমান ভূক্তভোগী হাজী আব্দুর রশিদের আপন বড়ভাই। অভিযুক্তরা হাজী আব্দুর রশিদের আপন ভাবী, ভাতিজা ও ভাতিজাদের স্ত্রী এবং তারা সবাই একই বাড়ীর বাসিন্দা। রুমেন, সাইফুল, রাজু ও শাপলা মাদকসেবী এবং রুমেন ও তার স্ত্রী শাপলা গাঁজা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাড়ীতে প্রায় প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত গাঁজাসেবী ক্রেতাদের অনাগোনা হয়ে থাকে। একপর্যায়ে রুহুল আলম রনি(সাংবাদিক) বিষয়টি টের পেয়ে তার পিতা হাজী আব্দুর রশিদকে অবহিত করে এবং সংশ্লিষ্টদেরকে আপত্তি জানাতে থাকে। মূলতঃ এ কারণেই প্রতিপক্ষরা পানি নিষ্কাষণের স্থান নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি ও নানাভাবে হয়রানী করে আসছিলো বলে অভিযোগে জানাগেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তরা ১৫ জানুয়ারী হাজী আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মারধোর করে। এ ঘটনায় হাজী আব্দুর রশিদ থানায় অভিযোগ দায়ের করার খবর পেয়ে ১৬ জানুয়ারী অভিযুক্তরা আবারও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাজী আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী-পুত্রদেরকে রক্তাক্ত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিককে বলেন- ঘটনাটি তদন্ত করতেছি, আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।