লিখেছেন-
৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্ত দিবস। স্বাধীনতার উষালগ্নে ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়েছিলো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর সাড়াঁশি অভিযানের মুখে বিপর্যস্ত হয়ে কমলগঞ্জের দখলদারিত্ব ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। এই দিনে কমলগঞ্জের মুক্তিপাগল বাঙ্গালি উড়িয়ে দেয় স্বাধীনতার পতাকা। এই দিনটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জয়নাল আাবেদীন জানান, প্রকৃতপক্ষে ৫ ডিসেম্বরই কমলগঞ্জ হানাদারমুক্ত হয়। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কমলগঞ্জে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকেই এখানে শুরু হয় সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রস্তুতি। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অনুগত ৬০ জনের একটি দল তৈরী করে উপজেলার শমশেরনগর বিমান ঘাটিতে ট্রেনিং এর কাজ চলতে থাকে। ১০ মার্চ ক্যাপ্টেন গোলাম রসুলের নেতৃত্বে এক দল পাক সেনা মৌলভীবাজারে অবস্থান নেয়। ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে তৎকালিন ছাত্রনেতা নারায়ন পাল ও আব্দুর রহিম পাকিস্তানী পতাকা পুড়ানোর দায়ে গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা ছিল বামপন্থিদের সুদৃঢ় ঘাঁটি। তারা মৌলানা ভাসানি ও হক তোহায়া গ্রুপের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সুচনা লগ্নে নকশাল পন্থিদের নির্মূল করার অজুহাতে মেজর খালেদ মোশারফকে কমলগঞ্জে পাঠানো হয়। তিনি ছিলেন বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তা। ২৫শে মার্চ গণ হত্যা শুরু হলে তিনি পাক বাহিনীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে জনতার কাতারে সামিল হন।
ঢাকায় এ গণ হত্যার প্রতিবাদে ২৬শে মার্চ কমলগঞ্জে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল বের হয়। পাক সেনারা সেই মিছিলের উপর গুলি চালালে সিরাজুল ইসলাম নামে একজন বৃদ্ধ শহীদ হন। এ হত্যাকান্ডে উপজেলাবাসীর মনে জ্বলে উঠে প্রতিশোধের আগুন। স্থানীয় বাঙ্গালী ইপিআর ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও একাত্মতা ঘোষনা করে সংগ্রাম পরিষদের সাথে। ২৮শে মার্চ শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সমস্ত অস্ত্র উঠিয়ে আনা হয়। মালগাড়ির বগি দিয়ে ভানুগাছ-শমশেরনগর-মৌলভীবাজার রাস্তায় বেরিকেড দেওয়া হয়। ২৯শে মার্চ পাক বাহিনী খবর পেয়ে আবারও কমলগঞ্জে আসে। সন্ধ্যায় পাক সেনারা ভানুগাছ থেকে শমশেরনগরে এলে মুক্তিসেনাদের অতর্কিত আক্রমনে ক্যাপ্টেন গোলাম রসুল সহ ৯ জন পাক সেনা নিহত হয়। স্বাধীনতার উষালগ্নের এই প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে প্রচুর অস্ত্র গোলাবারুদসহ পাক সেনাদের ২টি গাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বপ্রথম এই সশস্ত্র যুদ্ধে বিজয় লাভের পরদিনই কমলগঞ্জে মুক্তি পাগল জনতার এক বিরাট সমাবেশে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা পরিষদ। এর পর থেকেই নিয়মিত চলতে থাকে দলে দলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। ২৮ মার্চের পর পাক বাহিনী জল স্থল ও আকাশ পথে কমলগঞ্জে সাঁড়াশি আক্রমন শুরু করে। মুক্তি বাহিনী তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলায় অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছে।
এ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৩টি ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে পাত্রখোলা, ধলাই ও ভানুগাছের যুদ্ধ। ন্যাপ নেতা মফিজ আলী, ক্যাপ্টেন মোজাফফর আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা এম, এ, গফুর, ময়না মিয়া, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখের সাহসী নেতৃত্বে কমলগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসীকতার সাথে লড়েছেন। এখানকার বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন বঙ্গবীর এম, এ, জি ওসমানী, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, মেজর খালেদ মোশাররফ, ব্রিগেডিয়ার আমিন আহম্মদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মত দেশ বরেণ্য ব্যক্তিরা। এ উপজেলার বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, লেন্সনায়েক জিল্লুর রহমান, সিপাহী মিজানুর রহমান, সিপাহী আব্দু রশিদ, সিপাহী শাহাজাহান মিয়াসহ নাম না জানা অনেকেই।
একাধারে ৯ মাস ব্যাপী চলমান এই মুক্তিযুদ্ধে কমলগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা এ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ক্যাপ্টেন মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন গেরিলা অপারেশনের লোমহর্ষকর পর্যায়গুলো শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিভিন্ন বেতার মাধ্যম থেকে তার উপর মন্তব্যও করা হয়েছে বহু বার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি শমশেরনগর মুক্ত হওয়ার সময়। শমশেরনগর যুদ্ধের আরও এক অগ্রসেনানি ছিলেন সৈয়দ মতিউর রহমান। ৩ ডিসেম্বর শমশেরনগর মুক্ত হবার প্রাক্কালে তার অসম সাহসী যুদ্ধ পরিচালনা দেখে চমৎকৃত হয়েছিলেন শমশেরনগর ডাক বাংলোয় অবস্থানকারী তৎকালীন সময়ের মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন চাতওয়াল সিং। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ৩ ডিসেম্বর শমশেরনগর এলাকা শক্রমুক্ত করে ৫ ডিসেম্বরে ভানুগাছ এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধের পর কমলগঞ্জ সদর থেকে পাক হানাদাররা পিছু হটে মৌলভীবাজারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কমলগঞ্জের মাটিতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে ৫ ডিসেম্বর গোটা কমলগঞ্জ উপজেলা কমলগঞ্জ হানাদার মুক্ত হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের (৩৩) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা দেড় টায় মাগুরছড়া ছড়া এলাকার রেলওয়ের ২৯৬/৪ কিঃ মিঃ স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
মাগুরছড়া খাঁসিয়া পুঞ্জির গেইটম্যান দুলাল ভূঁইয়া জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন মাগুরছড়া পুঞ্জি অতিক্রম করার পর ২৯৬/৪ কিঃমিঃ এলাকায় এক অজ্ঞাত যুবকের দ্বি-খন্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে খাঁসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াংকে জানালে, তিনি কমলগঞ্জ থানাকে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে প্রাথমিকভাবে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনাটি শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ে থানার পুলিশকে অবহিত করলে বিকার সোয়া ৪টায় এএসআই আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এসে লাশের সুরতহাল তৈরী করে লাশটি উদ্ধার করে নেয়। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন লোকটি ট্রেন থেকে পড়ে কাটা পড়ে মারা গেছে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের কোন পরিচয় পাওযা যায়নি। লাশের পরিচয় না পেলে ময়না তদন্ত করে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার বেলা ২টায় এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে শমশেরনগর বাজারের কাজী বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা ও ডালিয়া হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা স্যানেটারী কর্মকর্তা দুলাল আহমদ, কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদসহ একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন চৌধুরী শমশেরনগর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় মোট ৩০ টাকা জরিমানা আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
॥ হাজী মো. সালাহ্ উদ্দিন ॥
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগমের পিতা হাজী মো. সালাহ্ উদ্দিন(৭৫) গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮.৪৫ ঘটিকায় আদমপুর বাজারস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ৬ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় আদমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জালালপুর কবরস্থানে মরহুমের নামাজের জানাজা শেষে নিজ পারিবারীক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ২৬ পিস ইয়াবাসহ জামাল মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বালিগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত জামাল উত্তর বালিগাঁও গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে।
কমলগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কমলগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ মিয়া, এএসআই গোলাম মোস্তফা ও এএসআই উত্তম কুমার কৈরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উত্তর বালিগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৬ পিস ইয়াবাসহ জামাল মিয়াকে আটক করা হয়। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানায়।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন-এর আ লিক শাখার সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা বাজারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর কালেঙ্গা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ কবি ডা: শহীদ সাগ্নিক।
আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান খোকনের পরিচলানায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি সোহেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিক খান, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি ইসলাম উদ্দিন আকাশ ও সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জসিমউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কিসমত মিয়া, মিজান মিয়া, সবুজ খান, মোস্তফা মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু পিঁয়াজের অগ্নিমূল্যের পাশাপাশি চাল, আটা, ডাল, তেল, আদা, রসুন. মসলাসহ সকল নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। তার উপর সরকারের বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ঘোষণা জনজীবনে ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে। মাত্র ৫ মাস আগের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির চাপ কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ জনগণকে দিশেহারা করে তুলেছে। চাল, আটা, ডাল, তেল, লবন, ডিম, পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বাড়লেও আমাদের বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য ভাড়া প্রদান করা না। আমাদের জীবন ও জীবিকার প্রশ্নটি কখনও ভোট শিকারী প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুরুত্ব পায়নি।
সম্মেলনে মো. গিয়াস উদ্দিনকে সভাপতি ও আব্দুল হান্নান খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়। নব-গঠিত কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করান বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস।
সমাবেশ থেকে পিয়াজসহ চাল, ডাল, তেল, লবন, আদা-রসুন মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, শ্রমজীবী জনগণের জন্য রেশনিং চালু, দফায় দফায় গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি গণবিরোধী পরিকল্পনা বাতিল এবং বছর বছর অযৌক্তিভাবে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ, বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদান, শহরের সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন, রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ, অবিলম্বে সিলেট শ্রম আদালতের কার্যক্রম শুরু ও সংশোধিত শ্রমআইন বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পিতা কর্তৃক মেয়েকে পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে কামুদপুর পল্লী সমাজ এর আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কামদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন পালনকালে উপস্থিত ছিলেন পল্লী সমাজ এর সভাপতি আম্বিয়া বেগম, সাধারন সম্পাদক আফিয়া বেগম, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী, ব্র্যাক মানবাধিকার ও সামাজিক কর্মসূচির সমন্বয়ক লাকী রায়, সিইপি দুলাল দেব, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি মো: আখলিছ মিয়া, অভিভাবক সদস্য মো: সালাউদ্দিন সহ পল্লী সমাজের নারী সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামে আফাজুল মিয়া তার দ্বিতীয় মেয়েকে ধর্ষণ করে। বুধবার কমলগঞ্জ থানা পুলিশ সন্ধ্যায় পিতা আফাজুল মিয়াকে আটক করে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও জয়িতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালি বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ, অধ্যাপিকা মঞ্জুশ্রী রায়, প্রভাষিকা শর্মিলা সিনহা, কমলকুঁড়ি পত্রিকার সম্পাদক পিন্টু দেবনাথ, দি এশিয়ান এইজ কমলগঞ্জ প্রতিনিধি মো: মোনায়েম খান, সংবর্ধিত ফাজতম্বী সিনহা ও রিমা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মধুছন্দা দাস। অনুষ্ঠানে সফল জননী নারী ও অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারীকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
“আমরা দূর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আয়োজনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। পরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যপক মো. রফিকুর রহমান। উপজেলা স্কাউট সম্পাদক মোসাহিদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।