কুলাউড়ার পৃথিমপাশায় দেশের ২য় বৃহৎ আশুরা উদযাপনের দৃশ্য
মৌলভীবাজার দফতর থেকে: শুক্রবার, ১৪ই অক্টোবর ২০১৬।। ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুলাউড়া ইমাম বাড়ায় গত বুধবার ১২ অক্টোবর পালিত হয়েছে সিলেট বিভাগের মধ্যে বিশাল আড়ম্বরের সাথে পবিত্র আশুরা । দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কয়েক হাজার শিয়া মুসল্লীদের অংশগ্রহণে হয়েছে তাজিয়া মিছিল। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো ইমাম বাড়া এলাকা। পুলিশের পাশাপাশি রেব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। আশুরার দিনে হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমে কুলাউড়ার ইমাম বাড়া সরব হয়ে ওঠেছিলো।
ইমাম বাড়ার শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা ১ম মহরম থেকে শুরু করেন মজলিস, মাতম, জারি নোওয়া, সাথে চলে রোজা ও নফল নামাজ ইবাদাত বন্দেগি। ১০ মহররম তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমেই সমাপ্ত হয় আনুষ্ঠানিক শোক পালনের কার্যক্রম। ছোট বড় প্রায় ৪০টি তাজিয়া নিয়ে মিছিল সহকারে যাওয়া হয় পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজার পদ্মদীঘির পাড়ের ময়দানে। সেখানে ছুরি দিয়ে শরীরে রক্ত ঝরিয়ে হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমের মাধ্যমে কারবালার সেই শোকস্মৃতি স্মরণ করেন। নবাব পরিবারের বংশধর সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাছ খানের নেতৃত্বে মহরমের শোক অনুষ্টান মজলিস, মাতম, নোওয়া, জারি ও তাজিয়া শোক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তাজিয়া মিছিলটি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নবাব বাড়ীতে গিয়ে শেষ হয়। শিয়া মুসলিমভক্ত অনুসারীরা এ সময় হায় হুসাইন হায় হুসাইন ধ্বনীর মধ্যে দিয়ে নিজ শরীরে জিঞ্জির- ছুরির আঘাত করে হযরত ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন। ওইদিন নবাব বাড়ির ইমাম বাড়ার প্রাঙ্গণসহ গোটা পৃথিমপাশা এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
এছাড়াও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সুন্নী মুসলমানরা মঙ্গলবার রাতে মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মহফিল, রোযা রেখে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা উদযাপন করেন।