1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কেমন হবে মৌলভীবাজার-৩ আসনের নির্বাচন? - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

কেমন হবে মৌলভীবাজার-৩ আসনের নির্বাচন?

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৫৩৬ পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর উপজেলা)
মুক্তকথা রাজনৈতিক ভাষ্যকার।। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বহুআকাঙ্খিত এ নির্বাচনের দিন-তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে মৌলভীবাজারে বিজয় প্রত্যাশীদের প্রচার-প্রচারণার মুখরতা শহরে ততই বেড়ে চলেছে। এই সাথে রয়েছে প্রধান দুই দলের নেতা-কর্মীদের পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো আর কোলাকুলির মচ্ছব। উভয় পক্ষই নিশ্চিত বিজয়ের আগাম ঘোষনা দিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনটিতে প্রধান দুই দল আ’লীগ ও বিএনপিতে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ইতিপূর্বে আ’লীগ তাদের শক্তি বাড়াতে জেলা সম্মেলনসহ নতুন জেলা কমিটির মাধ্যমে তৃণমুল পর্যায়ে যোগাযোগের মেলমিশ শুরু করে। অন্যদিকে বিএনপিও জেলা কমিটি পূনঃগঠনসহ হারানো এ আসনটি ফিরে পেতে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বেশ জোরে সুরে কাজ করছে।
জেলার ৪টি আসনের মধ্যে মৌলভীবাজার-৩ আসনটি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। বিএনপি জোট সরকারের আমলে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংসদের সাবেক হুইপ, আ’লীগ নেতা আজিজুর রহমান ও মহাজোট সরকারের সাবেক সমাজকল্যামন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ মহসীন আলীর মধ্যে পৃথক সংসদ নির্বাচনে লড়াই হয়েছে এই আসনে।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী সৈয়দ মহসীন আলী বিএনপির বটবৃক্ষসম প্রার্থী এম সাইফুর রহমানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪সালের আ’লীগ নেতৃত্বাধীন দশম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনে অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণেই এই আসনটি পেয়েছিল আ’লীগ। এই সময়ে সংসদ সদস্য প্রয়াত সৈয়দ মহসীন আলী সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব পান। এখন প্রধান দুই দলের সাবেক দুই মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও সৈয়দ মহসীন আলী জীবিত নেই। মহসীন আলী মারা গেলে উপ-নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ওই আসনে সাংসদ হন তার স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসীন। প্রয়াত স্বামীর পরিচয়কে সামনে রেখে সায়রা মহসিন দেশে বিদেশে অনেক ঘুরেছেন নিজের নির্বাচনী পালে হাওয়া ধরে রাখতে। কথা বলেছেন বহু মহলের সাথে। বলেছেন প্রয়াত স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চান। কিন্তু সকলই গরল ভেল। শেষ রক্ষা হয়নি। প্রয়াত স্বামীর বদৌলতে দলের উপরদিকে তার অফুরান ভরসা থাকার পরও কোন এক অজ্ঞাত কারণে অবশেষে তার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে যায়। মনোনয়নের সকল মাখন তুলে নেন দলীয় সভাপতি নেছার আহমদ।
এই কিছুদিন আগে, বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসীনসহ আরো যারা আ’লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা ছিলেন- সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিল্পপতি এম.এ.রহিম(সি.আই.পি), জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার চেম্বারের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মালেক তরফদার শোয়েব, আ’লীগ নেতা সাইফুর রহমান বাবুল, প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ লিয়াকত আলী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন মহলের ধারণা, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে আ’লীগ দুইধারায় বিভক্ত ছিল। এক ধারা ছিল সৈয়দ মহসীন আলী ও অন্যধারায় আজিজুর রহমান-নেছার আহমদের দল। সম্প্রতি জেলা কমিটিতে দুই ধারার নেতারা আসায় একসাথে সভা-সেমিনারে তাদের দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে কুন্দল রয়েই গেছে। দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা নেছার আহমদ কি পারবেন দীর্ঘদিনের দলীয় এ কোন্দলকে ফায়সালায় পৌঁছাতে? মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন খ্যাতিমান ফুটবলার মোহাম্মদ ফিরোজের দলীয় প্রভাব কোনভাবেই খাটো করে দেখার নয়। এ ছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মালেক তরফদার শোয়েব, সাইফুর রহমান বাবুল, প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ লিয়াকত আলী এদেরও দলের ভেতরে ও মানুষের মাঝে কোন সম্পর্ক যে নেই তা বলার কোন সুযোগ নেই। এরা প্রকাশ্যে সায়রা মহসীনের সমর্থক ছিলেন এবং এখনও আছেন। এরা কি মন খুলে মাঠে কাজ করতে পারবেন? অপর আওয়ামীলীগ নেতা এক সময়ের কাগাবালা ইউনিয়নের অপ্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে মৌলভীবাজার চেম্বারের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন একসময় প্রকাশ্যে মহসিন আলীর সমর্থক ছিলেন। অবশ্য মাঝে মাঝে তাকে আজিজুর রহমানের সমর্থক হতেও দেখা গেছে। প্রচণ্ডভাবে সায়রা মহসিনের সমর্থক সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিল্পপতি এম.এ.রহিম(সি.আই.পি)’র ভূমিকা ভোটের পাল্লা ভারি করতে বিরাট এক সহায়ক শক্তি। দীর্ঘদিনের এতোসব বিরুধীকে যদি আন্তরিকভাবে সহমতে আনতে পারেন তা’হলে হয়তো নেছার আহমদ এ ধূয়াসা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
অপরদিকে নেছার আহমদের এ ঘাটতিই এম নাসের রহমানের নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হয়ে যাবার তাবিজ বলেই অনেকে মনে করছেন। এছাড়াও প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে নেছার আহমদ থেকে কোন অংশেই তিনি কম নন। প্রয়াত পিতা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কীর্তি তার বাড়তি উপহার। প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের উন্নয়নের নজির জেলা জুড়ে এখনো দেদীপ্যমান। এ জেলাসহ সিলেট বিভাগজুড়ে রাস্থা-ঘাট, সেতু, কালবার্ট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ভবন তার হাতে তৈরি হয়েছে। পিতার এই গুণে তিনি এবার জাতীয় নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হয়ে যাবেন, এমনটাই বলছেন তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তার যাত্রাপথ যে ফুল বিছানো তাও নয়। পদে পদে কাঁঠা রয়েছে পোঁতা!
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এম. নাসের রহমান ছাড়াও বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন তারা ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান মিজান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেগম খালেদা রব্বানী। এদের কেউই নাসের রহমানকে রাজনৈতিক বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারেন না। জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে প্রকাশ্যে যে গ্রুপিং ছিল নির্বাচনে বিজয়ের সোপান বাইতে গিয়ে সে বিরোধ আপাততঃ মুখ লুকিয়ে হয়তো নিয়েছে। কিন্তু সময় বুঝে ফের পাকঘুরে যে ফিরে আসবে না তাতো বলা যাবে না।
ফয়জুল করিম ময়ূন বিভিন্নভাবে প্রয়াত মহসিন আলীর কাছে ঋণী। একইভাবে মিজানুর রহমানও। তাদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠায় প্রয়াত মহসিন আলীর অবদান তারা কোনদিনই শোধ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে সায়রা মহসিন মাঠে থাকলে তাদেরকে সমস্যায় পরতে হতো। তবে এরা দু’জন এবং বেগম খালেদা রব্বানী বস্তুতঃ বিএনপি প্রার্থী নাসের রহমানের খুবই সমালোচক ও মানসিকভাবে বিরোধী। একসময় তাদের মধ্যে ভীষণ লাঠি টানা-টানিও হয়েছে। পুরনো এ সমস্যাকে সামাল দিয়ে ঘরের ঈশান দিতে পারলে তার বিজয়ের সুযোগ দরজায় দাঁড়িয়ে বলেই কিছু কিছু মহলের ধারনা। আর যদি নির্বাচনের জঠিল কূটনীতির কারণে পুরনো বিবাদ ফিরে আসে তা’হলে নাসের রহমানের সাংসদ হওয়াকে বধ করবে নিঃসন্দেহে!
উল্লেখ্য যে, মৌলভীবাজার-৩ আসন (সদর-রাজনগর উপজেলা) ১টি পৌরসভা, ও দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। সদরে ১২টি ইউনিয়ন ও রাজনগর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫১১জন। শুধু সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৮ জন। এতে পুরুষ ভোটার ৯২ হাজার ৯০৬ জন ও মহিলা ভোটার ৯২ হাজার ৬৭১জন। পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৩৮ হাজার ১৯১ জন। এখানে পুরুষ ২০ হাজার ৪৩৮জন ও মহিলা ১৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার রয়েছেন। রাজনগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৭শ ৪৩ জন। এখানে পুরুষ ৭৬ হাজার ৬০১জন পুরুষ ও ৭৫ হাজার ১৪২ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন।(ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়া)। এ তথ্য জেলা নির্বাচন অফিসের

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT