পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর সেচের ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকবছর ধরে কৃষকেরা সবজি ও বোরোধানের প্রতি ঝুঁকেছেন। তাঁরা বিভিন্ন পতিত জমিতে সরিষা, আলু, শাকসবজি চাষ করছেন। এ ছাড়া বোরোধানের বীজতলার জন্য পতিত জলাশয় প্রস্তুত করছেন। কৃষিতে খরচ বাড়লেও সারা বছর সবজিতে ভাল দাম পাওয়া যায়। এ জন্য পতিত জমিসহ সব জমিতে চাষ বেড়েছে।
উপজেলার কৃষক শামসুল মিয়া বলেন, আমি গত তিন বছর ধরে ১ একর জলাশয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছের সাথে ধান আর শুষ্ক মৌসুমে সবজি চাষ করছি। অথচ এ জমি গুলো কয়েকবছর আগেও পতিত ছিল।
একই উপজেলার কৃষক জহুর মিয়া বলেন, আমি আগে আমার জমিতে শুধু আমন ধান চাষ করতাম। আমন চাষ করে আমার পরিবারের খাদ্যের চাহিদায় ঘাটতি থাকতো। পরে একই জমিতে গত তিন বছর ধরে আউশ, আমন ও বোরোধান চাষ করছি। এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়ে বাজারে ধান বিক্রি করি।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, গত কয়েকবছর ধরে এ উপজেলায় অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। পর্যাপ্ত সেচ থাকলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে। কৃষকেরা পতিত জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। বর্তমান সময়ে কৃষকেরা অতি সহজে এক ফসলি জমিতে দু’ফসল, তিন ফসল উৎপাদন করছেন। কৃষকদেরকে সেচ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন।
|