গত বছর নভেম্বরের কাহিনী। কাহিনীর প্রেক্ষাপট আমেরিকার কেন্টাকি’র একটি খুনের ঘটনা এবং খুনীকে ক্ষমা করে দেয়ার এক দূর্লভ মানবিকতার অবতারনা। কাহিনীটি প্রকাশ করেছিল লন্ডনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট। কাহিনীটি এমন- কেন্টাকির লেক্সিংটন শহরের ২২ বছর বয়সের এক পিজা ডেলিভারির যুবক সালাউদ্দীন জিতমাউদ। রাতের শেষ পিজা ডেলিভারীর সময় এই সালাউদ্দীনকে হত্যা করে থ্রে রেলফোর্ড নামের এক ব্যক্তি।
থ্রে রেলফোর্ড ডাকাতি করতে গিয়ে সালাউদ্দীনকে খুন করে ফেলেন। তিনি আদালতে এ ঘটনা স্বীকারও করেন কিন্তু এও বলেন যে তিনি ইচ্ছে করে সালাউদ্দীনকে হত্যা করেননি। কিন্তু এ কথায়তো হয়না। ফলে আদালত খুনের দায়ে রেলফোর্ডকে ৩১ বছরের সাজা দেন।
সাজা ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত মৃত সালাউদ্দীনের বাবা সোমবাত আদালতে তার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। চোখের জলে ভাসিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন- “আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” আবেগাপ্লুত সোমবাত’এর অন্তরের আর্তীমাখানো কান্না পুরো আদালতকে স্থবির করে দেয়। স্বয়ং বিচারক আবেগতাড়িত হয়ে কিছুক্ষনের জন্য আদালতের শুনানী মুলতবি রাখেন।
সোমবাত কেঁদে কেঁদে বলছিলেন- “আল্লাহ বলেছেন যার উপর অপরাধ হয়েছে সে যদি ক্ষমা না করে তা’হলে আল্লাহ তেমন কাউকে ক্ষমা করতে পারেন না।” তাই আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি তোমার উপর অসন্তুষ্ট নই। আমি অসন্তুষ্ট তোমার ওই দুষ্ট মনোবৃত্তির উপর, যে মন ও মানসিকতা তোমাকে এমন ধিকৃত কাজে উসকে দিয়েছে। কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলতে বলতে সোমবাত কাঠগড়া থেকে নেমে গিয়ে রেলফোর্ডকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন-আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
আদালতে উপস্থিত রেলফোর্ডের মা-বাবাও সোমবাতকে কান্নাভেজা কন্ঠে জড়িয়ে ধরেন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।