এলাকাবাসীর আতংকের নতুন ক্ষেত্র ভুরভুরি পুল
গভীর রাতে গাড়ি আটকীয়ে টাকা লুট
জান-মাল রক্ষার্থে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন
মৌলভীবাজার দফতর থেকে: শুক্রবার, ১৪ই অক্টোবর ২০১৬।। মৌলভীবাজারের রাজনগর খেয়াঘাটবাজার সড়কের ভুরভুরি পুল এখন আতংকের বিশেষ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। রাতে ওই যায়গা দিয়ে সাধারণ অটোরিক্সা চালকরা যেতে চাইলে অজানা ভয় নিয়ে গাড়ি চালান। গত সোমবার রাত ১টায় ওই স্থানে পর পর ঘটে দুটি তস্করী ঘটনা।
পুজার অনুষ্ঠানে রাতে পাচঁগাও পুজা মন্ডপ থেকে অটোরিকসা চালক শাহাপুর গ্রামের আব্দুর রব ভুরভুরি পুলে আসলে ৫/৬জন মুখোশধারি যুবক গাড়ি আটকিয়ে ভাংচুর করে। এসময় ওই চালককে ধরে তারা লুটপাট করতে চাইলে তিনি গাড়ি সজোরে চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেঁচে যান। এর পর আরেক অটোরিকসা চালক ফতেপুর গ্রামের সিপলু মিয়া পুজা মন্ডপ থেকে মোকামবাজার যাবার পথে ভুরভুরি পুলে গেলে তার গাড়ি আটকিয়ে যাত্রিসহ লুটপাট করে কিছু লোক। এসময় চালক সিপলু ওই লুটপাটকারী ওই যুবকদের সাথে দস্তাদস্তি হলে তার ডান পায়ে মাছ ধরার কুচা দিয়ে ঘা বসিয়ে দেয় ওরা। এসময় যাত্রী মুক্তার মিয়ার নগদ টাকা লুটপাট করে নেয়।
চালক শিপলু জানায়, ওই রাতে এক যাত্রী নিয়ে ভুরভুরি পুলের কাছে গেলে ৬জন মুখোশধারী যুবক গাড়ি আটকিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তার সাথে থাকা সাড়ে ৯হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তস্করেরা। সে আরো জানায়, দস্তাদস্তির সময় সে এক যুবকের চেহারা দেখে তাকে সনাক্ত করতে পেরেছে। সে হল শাহবাজপুর গ্রামের সত্তার মিয়ার পুত্র রাজন মিয়া।
মোকামবাজার শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারী আনকার মিয়া জানান, ওই হাওর এলাকার কিছু যুবক নৌকা দিয়ে মাছ ধরার ভান করে ভুরভুরি পুলে এসে জড়ো হয়, তখন সুযোগ পেলে লুটপাট করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস শাহিদ আমিন বলেন, ঘটনাটি সঠিক। তবে, শিপলু আমাদের বলেছে আক্রমনকারী শাহবাজপুর গ্রামের রাজনকে সে চিনেছে। বর্তমানে রাজন পলাতক আছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ দাশ জানান, খবর পেয়ে রাজনগর থানার এস আই আলাউদ্দিন ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পরিদরশন করেছেন। রাজনগর থানার এসআই মোঃ আলাউদ্দিন জানান, ওই ঘটনার সময় সরেজমিন তদন্তে থেকে একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। তবে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে ওই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ জনগণের মধ্যে এক বিপদ্জনক ভীতি বিরাজ করছে। তারা সাধারণ জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।