ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার॥ মৌলভীবাজারের আথাইনগীরিতে গোপলা নদীতে ভেসে উঠেছে একটি লাশ। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসে। লাশটির গলায় বাঁধা রয়েছে দুইটি পঞ্চাশ কেজি ওজনের বালির বস্তা। লাশটির গায়ে ছিল সবুজ একটি হাফ পেন্ট।
গত ২৮ জুলাই রাতে স্থানীয়রা এই লাশটি ভাসমান অবস্থায় মাঝ নদীতে দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ৫ থেকে ৬দিন পূর্বে কেউ পরিকল্পিভাবে হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে যায়। লাশটি গলে যাওয়ায় সিআইডির ক্রাইমসিন টিম লাশটির ময়নাতদন্তের সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে অক্ষম হন। তবে পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বার ৩৬/১৭৯। পুলিশ দীর্ঘ কয়েকমাস তদন্ত করে মামলাটির কোন কুলকিনারায় নিয়ে আসতে পারে নি। পরে গত গত ৬ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার আসে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)র কাছে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি মৌলভীবাজারের এসআই মো. সায়েক আহমদ বলেন, সিআইডি মামলাটি তদন্তভার পাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে অনেক খোঁজ খবর নিয়ে লাশটির পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই কেউ লাশটির পরিচয় সনাক্ত করতে পারছে না। লাশটি গলে যাওয়ায় ফিঙ্গার প্রিন্ট কালেক্ট করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা আশপাশের সকল থানায় চিঠি দিয়েছি, এই সময়ে এই বয়সের কেউ মিসিং আছেন কি না। কেউ লাশটির পরিচয়ের সন্ধান পেলে, সিআইডিকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে পারেন।
|