মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জোর পূর্বক জমি দখল ও এলাকার নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঊষার-রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান বাদশাহর এহেন কার্যক্রমের প্রতিবাদে গত(৩ জুন) বৃহস্পতিবার রাতে পতনউষারে এলাকার বেশ কিছু মানুষ প্রতিবাদ সভা করেন।
প্রতিবাদকারীরা জানান, পতনঊষার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঊষার-রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল করিম(মনির মাষ্টার)এর ছেলে মুজিবুর রহমান বাদশাহ গত কয়েক বছর যাবত বখাটে ছেলেদের নিয়ে এলাকায় ঘুরাফেরা করে আসছে। সে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নজির আলীর পরিবারের ভুমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে শ্রীমতপুর গ্রামের লতিফ খান, ব্রাহ্মনউষার গ্রামের মছদ্দর আলী, সুফিয়ান মিয়া, আব্দুল মালিকসহ গ্রামের নিরীহ লোকদের উপর মামলা ও ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার রাতে মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। আব্দুল বাছিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক অলি আহমদ খান, লোকমান মিয়া, সাজ্জাদ চৌধুরী, দুলাল চৌধুরী, সমেদ আলী, মনু মিয়া প্রমুখ।
আলাপকালে এলাকার রহিম মিয়া, রইছ মিয়া, উসমান আলী, সরোয়ার মিয়া, নাসির মিয়া, রকিব আলী, সাজনা বেগম, আশরাফ আলী সকলেই বলেন, মুজিবুর রহমান বাদশাহর যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ট। বাদশাহর নানা কার্যক্রমের ইতিহাস তুলে ধরে ইতিপূর্বে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে জানান। সে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে এবং কথায় কথায় মামলা-মোকদ্দমা ও পুলিশ দিয়ে আমাদের মতো নিরীহ লোকদের হয়রানি করছে।
তারা আরও বলেন, বাদশাহ দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিল। প্রবাস থেকে দেশে ফেরার সময় ৬ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে ধরা পড়ে এবং সে জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়।
এব্যাপারে মুজিবুর রহমান বাদশাহ বলেন, আমার উপর এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি রাস্তায় পাকা দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে তারা আমাকে হুমকি ধামকি দেয়ায় আমি থানায় জিডি করেছি।
|