লন্ডনের বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের খ্যাতিমান বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সফল ব্যবসায়ী ইফতেকার হুসেন চৌধুরী গতকাল ৩০জুন শুক্রবার লণ্ডনের হুইপ ক্রস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।(স্রষ্টার খুশীই আমাদের খুশী)। মৃত্যু কালে তাঁহার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর। তিনি বারধ্ক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি দুই ছেলে এবং একমেয়ে, নাতী নাতনী ও বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলার দরগাপাশা গ্রামের বিশিষ্ট চৌধুরী বাড়ীর সন্তান প্রয়াত ইফতেকার হোসেনের পিতার নাম মরহুম শামসুল হুসেন চৌধুরী। তারা পাঁচ বোন ও দুই ভাই ছিলেন। তিনি এম সি কলেজ থেকে বি এস সি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯৭০সালে লন্ডনে আসেন। ঐ সময় তিনি সময়ের অপর কৃতি সন্তান বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত তছদদুক আহমদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পান এবং তার রেস্তোরাঁয় কাজও করেন। এসময়ই তিনি কোমলমতি ও বহুগুণে গুণান্বিতা মমতা চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন এবং ব্যবসায় মনোনিবেশ করে আশাতীত সফলতা লাভ করেন।
সংসার চালানো এবং ব্যবসার পাশাপাশি প্রয়াত ইফতেকার চৌধুরী সমাজকর্মেও প্রশংসনীয় অবদান রেখে গেছেন। তিনি ‘ইজলিংটন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন’এর প্রতিষ্টালগ্ন থেকে সভাপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে দায়ীত্ব পালন করেন। জি এসসি, বংগবীর ওসমানী ট্রাস্ট, দক্ষিন সুনামগঞ্জ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে স্বক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে সমাজের সেবা করে গেছেন অকৃপণ চেতনায়। ব্যক্তিগতভাবে তিনি গরীব এতীম এবং অসহায়দের জন্য অকাতরে দান করে গেছেন।
প্রয়াত চৌধুরী ব্যবসার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার প্রতি খুবই যত্নবান ছিলেন এবং সন্তানাদিকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলেন। ছেলে-মেয়েসহ তার ৩ সন্তানই নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।
তার অন্তর্ধানে আমরা শোকাহত। তার পরিবার পরিজনদের প্রতি রইলো আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। ইফতেখার চৌধুরীর অনন্তযাত্রা চিরশান্তিময় হোক, ফুলে ফুলে ভরে উঠুক।