1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ডাক্তার বলেন 'হাইপারকেরাটসিস', ৩৪ বছরেও রোগনিরাময় হচ্ছেনা বাপবেটির - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

ডাক্তার বলেন ‘হাইপারকেরাটসিস’, ৩৪ বছরেও রোগনিরাময় হচ্ছেনা বাপবেটির

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯
  • ৫৫৫ পড়া হয়েছে

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত বাবা-মেয়ে, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, রাজনগর(মৌলভীবাজার)।। রাখাল দাস (৩৪) জন্মের পর থেকে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত। হাতের ও পায়ের চামড়া শক্ত ও খসখসে হয়ে গেছে। হাতের তালু ও পায়ের পাতার চামড়া ফেটে রয়েছে তার। শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়া টুকরো-টুকরো হয়ে প্রায়ই খসে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিলেও এই রোগ সাড়ছে না। যত সময় যাচ্ছে তত যেন রোগটি আরো বেড়ে চলেছে। ডাক্তারদের ব্যবস্থাপত্রে এই রোগকে ‘হাইপারকেরাটসিস’ উল্ল্যেখ করলেও কোনো ঔষধে রোগটি নিরাময় হচ্ছে না। স্কুলে পড়ু–য়া মেয়ে সম্পা দাসের (১৪) হাত-পা’ও একই ধরণের রোগে আক্রান্ত। বাবার শৈশবে যেমন লক্ষণ ছিল মেয়ের হাতে-পায়ে একই লক্ষণ রয়েছে। নিজের ভিটেমাটি কিংবা জায়গা জমি কিছুই নেই যে বিক্রি করে বাবা-মেয়ে চিকিৎসা করাবেন। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন ভিটেমাটিহীন দরিদ্র রাখাল দাস ও তার মেয়ে সম্পা দাস। তারা মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের বাসিন্দা।

রাখাল দাসের সাথে কথা বলে জানাযায়, তার মা নিবা রানী দাসের এই রোগ ছিল। তিনি বছর তিনেক আগে মারা গেছেন। রাখাল দাসও জন্মের পর থেকে এই রোগে ভুগছেন। শৈশব থেকে চিকিৎসা নিলেও ‘অজ্ঞাত’ এই রোগটি থেকে নিরাময় পাননি। বরং আগের চেয়ে রোগের বিস্তৃতি আরো ঘটেছে। হাত-পায়ের ব্যাথার যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতে পারেন না। পৈত্রিক কোনো ভিটেমাটি না থাকায় দরিদ্র রাখাল দাস তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশী অসিত দাসের বাড়িতে বসবাস করছেন। সংসার চালাতে ৮ বছর সংবাদপত্র বিক্রি করেছেন। পরিবারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সংবাদপত্র বিক্রি বাদ দিয়ে ২০১৭ সালে সামান্য পুঁজি নিয়ে ফেরি করে মোমবাতি-আগরবাতি বিক্রি করা শুরু করেন। ‘অজ্ঞাত’ এই রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ কিনতে গিয়ে নিজের পুঁজিটুকুও শেষ হয়ে গেছে। এখন এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে থেকে সহযোগিতা নিয়ে রাখাল দাসের সংসার চালাতে হয়। প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র থাকলেও ভাতার সুবিধা পাননা। মেয়ে সম্পা দাস উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের বিমলাচরণ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ও ছেলে রাজু দাস একই বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
মেয়ে একই রোগে আক্রান্ত দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রাখাল। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন তার শঙ্কা বাড়ছে। সংসার চালানো যেখানে তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সেখানে এই জটিল রোগের চিকিৎসা করানোটা তার কাছে অকল্পনীয়। রোগটি পুরোপুরি নির্মূল হবে কিনা, হলে কত টাকা খরচ হবে ও কোথায় চিকিৎসা নিলে নির্মূল হবে তাও জানেন না তিনি। হঠাৎ পায়ের কনিষ্টা আঙুলে ব্যাথা বেড়ে গেলে গত ৯ই মে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান রাখাল দাস। সেখানকার ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে প্রয়োজনীয় ঔষধ কেনার মতো টাকা না থাকায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই ফিরে আসেন। আর্থিক সহায়তা পেতে রাখাল দাস উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবেদন করেছেন। তবে সেখান থেকে যে আর্থিক সহায়তা করা হয় ইতিপূর্বে তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেও তিনি কোনো সুফল পাননি বলে জানান। এখন এই অজ্ঞাত রোগের চিকিৎসায় নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন অসহায় রাখাল দাস ও তার মেয়ে সম্পা দাস।
রাখাল দাস বলেন, জন্মের পর থেকে এই রোগে ভুগছি। চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। মেয়েকেও এই অজানা রোগে আক্রমণ করেছে। এই রোগের চিকিৎসা আছে কিনা, থাকলে কত টাকা খরচ হবে তাও জানি না। বাপ-মেয়ে সুস্থ জীবন পেতে এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই। উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক বলেন, রাখাল দাস আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে জন্মের পর থেকে অজানা এই চর্ম রোগে আক্রান্ত। তার স্কুল পড়ু–য়া মেয়েরও একই রোগের লক্ষণ দেখা গেছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে এখন মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাচ্ছে। সহযোগিতা পেলে বাবা-মেয়ের জীবন বেঁচে যেতে পারে।

অবশেষে দায়িত্ব বুঝে পেল রাজনগরের নব-নির্বাচিত পরিষদ

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারমম্যান শাহজাহান খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী অবশেষে পরিষদের দায়িত্ব বুঝে পেয়েছেন। শপথ গ্রহণের ১ মাসের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের নিয়ম থাকলেও দায়িত্ব গ্রহণে জটিলতা দেখা দেয়। পরে মন্ত্রনালয়ের স্মরণাপন্ন হলে সুরাহা হয় এই জটিলতার। অন্যদিকে গত ৫ মে পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে পরিচিতি সভা করার পর থেকে পরিষদের ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেননি সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আছকির খান। এতে পরিষদের বিভিন্ন কাজ আটকে যায়। গতকাল বুধবার সকালে পরিষদের মাসিক সভা করার মাধ্যমে নব-নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, গত ১৭ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে ১ মাসের মধ্যে নতুন পরিষদের সভা আহ্বান হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ১৭ মে’র মধ্যে সভা আহ্বান করার কথা ছিল।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২১শে  মে আগের(চতুর্থ উপজেলা পরিষদ) পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে ২০শে মে মেয়াদ শেষ হয়। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনোভাবেই সভা আহ্বান করতে পারছিলেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পেয়ে ২২শে মে সভা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে চিঠি ইস্যু করেন।
সেই হিসেবে বুধবার মাসিক সভার মাধ্যমে নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বর্ণালী দাস, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খান, ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত, টিপু খান, নজমুল হক সেলিম, নকুল চন্দ্র দাস সহ পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে গত ৫ই মে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে পরিচিতি সভা করে উপজেলা প্রশাসন। এই পরিচিতি সভার পর থেকে নিয়মিত অফিস করলেও পরিষদের ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেননি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আছকির খান। এতে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কাজ বাধাগ্রস্থ হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে ১ মাসের মধ্যে মাসিক সভা আহ্বান করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১ মাসের মধ্যে সভা অনুষ্ঠান করার কথা বলা হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করলে আমাকে জানানো হয় সভা আহ্বানের চিঠি ১ মাসের মধ্যে ইস্যু করতে হবে; কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই যে সভা করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তাই নিয়ম মেনে নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পেয়েছেন। আগের চেয়ারম্যান সাহেব যেসব ফাইলে স্বাক্ষর করেননি সেসব ফাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT