ইয়েমেনের ছকত্রা দ্বীপপুঞ্জ। ইয়েমেনের মাটি থেকে অনেক দূরে সাগরে এর একাকী অবস্থান। আর এ কারণে এর বৃক্ষ-তৃণলতাগুল্ম বৈচিত্রের শতকরা ৩০ভাগ পৃথিবীর আর কোথায়ও দেখা যায় না। একমাত্র ছকত্রা দ্বীপেই এদের পাওয়া যায়। অনেকেই এ’কে পৃথিবীর ‘আজব জমি’ বলে ডাকেন। আবার অনেকের কাছে আদেখা সব বৃক্ষলতাগুল্মের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হীরার মত দামী এলাকা।
আরব সাগরে আরো ছোট ছোট ৪টি দ্বীপ নিয়ে এ দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান। এ দ্বীপপুঞ্জ ইয়েমেনের অংশ। অতীতের সেই পুরাকাল থেকেই এডেন শাসনের একটি উপবিভাগ হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। ২০০৪ সাল থেকে ‘হাদ্রামাউত’ শাসনের অধীনে চলে যায়। কারণ এডেন থেকে হাদ্রামাউত আরো কাছে।
২০১৩ সালে দ্বীপপুঞ্জের নামেই নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা চালু হয় এবং এর পর থেকে ‘ছকত্রা শাসন’ এর অধীনেই পরিচালিত হচ্ছে।
দ্বীপপুঞ্জটি আরব্য মহাসাগরে খুবই একা নিঃসঙ্গ। আশে-পাশে কেউ নেই শুধু বিশাল বিশাল ঢেউয়ের জলরাশি।
প্রকৃতি ‘ছকত্রা’কে পৃথিবীর মূল ভূখন্ড থেকে দূরে রেখে তার বৃক্ষলতাগুল্মের বৈচিত্রকে স্বযত্নে সংরক্ষন করেছে। এতো বাহারী নানান রূপ ও গুনের বৃক্ষরাজি, ফুল, লতাগুল্মের এক বিশাল অংশ পৃথিবীর আর কোথায়ও পাওয়া যায় না। এই ‘ছকত্রা’ ছাড়া।
ছকত্রার এই একাকিত্ব এই দূরে সরে থাকাই তার স্থলজ এমনকি জলজ জীব ও জৈববৈচিত্রের আজব আজব রূপকে যাদুঘরের মত সংরক্ষন করেছে। দ্বীপপুঞ্জটি লম্বায় ৮২ মাইল আর পাশে সাড়ে ৩০ মাইলেরও কিছু উপরে।
দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের কাছে অপরিচিত বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপপুঞ্জটির জন্ম ইতিহাস খুবই কৌতুহলোদ্দীপক এবং গবেষকদের মতে এর সৃষ্টি কোনরূপ অগ্নেয়োৎপাতের মধ্যদিয়ে ছিলনা।