মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ধানের দাম না পেয়ে সড়কের উপর ধান বিছিয়ে রংপুরে কৃষকগন সড়ক অবরোধ করেছে। বণিক বার্তার খবর বিগত ২০ মাসে ভারত থেকে ২৪ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। অথচ সরকার বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ।
কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত শুনতে চান না বলেও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা।
গতকাল রবিবার, ১৯শে মে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকা মণ দরে ধান কেনার দাবিতে জাতীয় কৃষক জোট এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ইনু বলেন, ‘কোনো অজুহাত শুনতে চাই না, কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে। প্রয়োজনে অর্ধেক দাম আগাম দিয়ে কৃষকের গোলায় ধান রাখা ও সরকারি গুদামে সরবরাহের পর বাকি অর্ধেক দাম পরিশোধ করার পদ্ধতি চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে।’
সাবেক তথ্য মন্ত্রী ইনু আরো বলেন, ‘সরকারি গুদাম খালি না থাকলে বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতের গুদাম ভাড়া নিতে হবে। আপাতত চাল আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। দেশের চাহিদা অতিরিক্ত উৎপাদিত চাল রপ্তানির ব্যবস্থা করার কথা ভাবতে হবে। সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল, বিদ্যুৎ, শ্যালো মেশিন, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর, ডিপ টিউবওয়েল, ধান মাড়াইযন্ত্রসহ কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতির দাম কমাতে হবে।’
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি গুদামের সম্প্রসারণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে কৃষিপণ্য বিপণন সমবায় গড়ে তুলতে হবে। কৃষকের নিজের উৎপাদিত শস্য নিজের রাখার জন্য সংরক্ষণগোলা তৈরির গোলা ঋণ দিতে হবে।’
সমাবেশে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন, ‘ধানের মূল্য নিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী, দালাল, ফড়িয়া, চাতাল মালিক, চালকল মালিক, চাল আমদানিকারকসহ বড় বড় ধান-চাল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন কোন কারসাজি করতে না পারে সেজন্য সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি ইউনিয়ন ওয়ারী ধান চাষ ও ধান চাষিদের তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরির দাবি জানান।
জাতীয় কৃষক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান শওকত, সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, মোহর আলী চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, জাতীয় কৃষক জোটের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননীসহ জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।
অভিজ্ঞজনের অভিমত- কৃষক জনজীবনে কোন বিপর্যয় নেমে আসার আগেই-