মুক্তকথা সংগ্রহ।। সাবধান ধর্ষক! এবার সাজা মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ করলে যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কেবিনেটে আইন পাস করা হয়েছে। ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আধ্যাদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় এটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো। যথা নিয়মে সংসদ বসলে এই অধ্যাদেশ আইন আকারে পাস হবে।
এই আইন পাশের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, “ধর্ষণ একটি পাশবিকতা, মানুষ পশু হয়ে যায়। সেজন্য আমরা আইনটি সংশোধন করে, ধর্ষণ করলে যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কেবিনেটে আইন পাশ করেছি।”
|
আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। এখন এই যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাথে মৃত্যুদণ্ড যোগ হলো। চলমান করোণা মহামারীর মাঝেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সারা দেশজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নিরুপায় মানুষ আন্দোলনের পথ বেচে নেয়। তারই মাঝে গতকাল মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে(আইনি ভেটিং) নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, স্বামীর সাথে ঘুরতে যাওয়া এক বধুকে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ এবং গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন ঘটনায় সারা দেশে মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধের দাবীতে দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়।
সূত্র: সংবাদ মাধ্যম
|