-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রম অনুমোদন, আগামী বছর থেকে বাস্তবায়নবিশেষ প্রতিবেদকশিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা এবং শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাক্রম-এর খসড়া মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। বিশ্বের সাথে সমন্বয় রেখে বর্তমান পাঠ্যসূচি আধুনিক করা হচ্ছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলমান শিক্ষাক্রমের ভুলত্রুটি সংশোধন, আন্তর্জাতিক মান ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে এ পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিগত ৩০ মে, এ নতুন পাঠ্যসুচি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে “জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি(এনসিসিসি)”। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির সারাদেশে ৬১টি স্কুল, কারিগরি প্রশিক্ষণালয় ও মাদরাসায় পরীক্ষামূলক শিক্ষাকাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন পাঠ্যসূচি বিষয়ে কোনো পরিমার্জন বা পরিবর্তনের কোন প্রস্তাবনা না থাকায় নতুন পাঠ্যসূচির খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয় ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুমোদন সংক্রান্ত শিক্ষাক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ ও এনসিসিসির সদস্যরা। এটি বাস্তবায়নের ফলে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সবাইকে পড়তে হবে ১০টি বিষয়। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দ করতে হবে। একাদশ শ্রেণি শেষে পরীক্ষা এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ দুই পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে তৈরি হবে এইচএসসির ফল। ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে(শুক্র ও শনিবার) দু’দিন ছুটি থাকবে। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, দশম শ্রেণির আগে কোনো কেন্দ্রীয় বা পাবলিক পরীক্ষা নেই। প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্তও কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এ ছাড়া প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছে না। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে হবে আটটি বই। তবে সব শ্রেণিতেই শিখনকালীন মূল্যায়নেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী(পিইসি) পরীক্ষা থাকছে না। চলতি বছর মাধ্যমিকস্তরের ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষামূলক পাঠদান শুরু হয়েছে। জানা গেছে আগস্টে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণির পরীক্ষামূলক পাঠদান। ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি যুক্ত হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি যুক্ত হবে। এ শিক্ষাক্রম অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সূত্র: অন্তর্জালিক সংবাদ মাধ্যম |