মামুন রশীদ মহসিন ও সরকার জবলু।। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় নিজ বসতগৃহে খুন হয়েছেন আবিদা সুলতানা(৩৫) নামে একজন নারী আইনজীবী। রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যা ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি এডঃ আবিদা সুলতানার(৩২) হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সারাদিন কোর্ট বর্জন কর্মসূচী, মানব বন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মৃত এডঃ আবিদা সুলতানার খুনি তানভির আহমদকে সোমবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ(অসি) আব্দুছ ছালেক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন মামুন রশীদ।
সরকার জবলু জানিয়েছেন, গত ২৬ মে রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যান। বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এসময় ঘরের একটি কক্ষে তালা দেখতে পেয়ে তাদের কিছুটা সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে বোনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক এ সংবাদদাতাকে বলেন, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের বেশ চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। তানভিরের মা ও স্ত্রীকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, এ খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানাগেছে, হত্যাকারী তানভির মৃত এডঃ আবিদার পিত্রালয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো এবং মাদবকূল জামে মসজিদে ইমামতি করতো। সে জকিগঞ্জ উপজেলার আমানদী গ্রামের ময়নূল ইসলামের পুত্র। মৃত এডঃ আবিদা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ূমের তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন।